পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

##fချ ফিরে তাকাতে বিড়িতে জোরে টান দিয়ে যেন প্ৰায় বুক ফুলিয়ে নরেশ বাহাদুরীর হাসি হাসল। নতুন বৌকে সে ছ’পয়সার এতটুকু একটি কৌটাে উপহার দিয়েছে-কোটোর ওপরে আবার এক রাত্তি আশি আঁাটা ! “টোপিকে দেখিও না। এ্যা ? মেয়েটা ভীষণ হিংসুটে ।” “টেপি কে ?” “ওই যে ওবাড়ীর সোনামাসীর মেয়ে টেপি । বোলো না ওকে ৷” “এটা টেপির নাকি ? নিয়ে যাও বাবু তোমার টেপির জিনিষ। আমি bाई 6न ।।” নরেশ উদারভাবে বলেছিল, “তাতে কি, নাও না। কিছু হবে না।” পরে রম্ভ সোনামাসীর পরিচয় পেয়েছিল, তার আহলাদী মেয়েরও ৷ সোনামাসী গলির আরও ভিতরে কয়েকটা বাডী পেরিয়ে এক বাড়ীতে থাকে। কাবুলীওলার ব্যবসা চালিয়ে সোনামাসী নিজের সংসার চালায়। পুজি তার সামান্য, স্বামী মরবার পর গায়ের সব গয়না। আর ঘরের সব বাড়তি DBDDBDYBBL BB D DD DDLDBD BBDBDSS SDDBD BBDSDBD নিজে আর তার ওই মেয়ে টেপি, খরচ বেশী নেই। একটি টাকা তার বাইরে গেলে কদিনের মধ্যে পাচ সিকে হয়ে ফিরে আসে । দশ বছর ধরে সোনামাসী মেয়েকে দুধ ভাতও খাইয়েছে, পুজির টাকাও বাড়িয়েছে। ব্যবসাটা সে আয়ত্ত করেছে অদ্ভুত অধ্যবসায়ের সঙ্গে। প্রথম প্ৰথম দু’চার টাকা তার মারা গিয়েছিল, লোক চিনতে ভুল করেছিল, বেশী সুদের লোভ সামলাতে পারে নি। এখন সে আর ঠিকে না, তাকে ঠকিয়ে পারা পাবার ক্ষমতা আছে এমন লোককে সে টাকা কখনো ধারা দেয় না, বাজে লোকের সঙ্গে কারবার করে না । কার কাছ থেকে কি ভাবে টাকা অ্যাদায় করতে হবে তাও সে নিভুলভাবে জানে। কারো কাছে ধন্না দেয়, কার কাছে বিনিয়ে বিনিয়ে কঁাদে, কাউকে দেয়। গলা ফাটিয়ে অকথ্য গালাগালি আর কাউকে দেখায় ভয় । আবার কারো কারো বেলা সময় পার হয়ে গেলেও কখনো তাগিদ দেয় না । সে জানে যে তার তাগিদের চেয়েও এ সব লোকের কাছে চক্ষুলজার তাগিদ ঢের বেশী জোরালো । হাতে এখন টাকা নেই বলেই তার টাকা ফেরত দিচ্ছে না, এখন গিয়ে টাকা চেয়ে চক্ষুলজা ভেঙ্গে দিলে তারই বিপদ । (s