পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(SS-NVS ,臀“ মাত্র রত্নাকরের মঙ্গল করে গেলে সে একদিন বাল্মীকি হয়ে উঠবে এমন আশা করা বোকামি । কিন্তু এ আশা অনায়াসেই করা যায় লাখের মধ্যে হাজার বাল্মীকি ঘুমিয়ে আছে! গাওঁী ছোট হলেই যে ভাল কাজ করা যাবে তার মানে নেই। বাড়ির বৌ সমস্ত বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে।-কিন্তু বাড়ির সব চেয়ে ছোট ঘরটি পরিষ্কার করার জন্য ডাকতে হয় মেথরকে। আমি চেষ্টা করি নি DBD MKK DB LS DDD SDD DBB KBD S BBDLD LDDDDD চেষ্টার লাঙ্গল অ্যাচড় কাটতে পারে নি-ফসল ফলার কি ! তাই এসে দাড়িয়েচি এই বিস্তীর্ণ মাঠে। যত আগাছা থাক, মাটি যত শক্ত হোক, অল্প একটু স্থান পরিষ্কার ক’রে আবাদ করতে পারব না ? বাকী জীবনের চেষ্টায় একটু সোনা ফলবে না ? পারব-ফলবে। সে থামল। একটু ভেবে বলল, এই কথাটা আমি ভাবতাম। রাত্রিদিন ভাবতাম। স্বামী আমার কাছে ছোট নয়-তুচ্ছ নয়-কিন্তু পর। সব স্বামীই পর-নিজের চেয়ে মানুষের আপনার কেউ নয়প্ৰেমে নয়, স্নেহে নয়। প্ৰেম দুটি আত্মাকে কাছে আনে, কিন্তু আত্মগত আত্মার চেয়ে কাছে-আসা আত্মার দূরত্ব বেশী। তাই আমি ভাবতাম যে, শুধু পরের কল্যাণেই বেঁচে থাকিব, আমার আত্মার কল্যাণ নেই ? আমার জীবন তাদেরি কল্যাণে ব্যর্থ হবে যাদের কল্যাণ হয় না ? সবাই পরের জন্যেই অবশ্য বেঁচে থাকে, কিন্তু নিজের জন্য আহরণ করে ওই বেঁচে থাকার সার্থকতাটুকু। ওরি নাম নিজের আত্মার কল্যাণ। নিজেকে দিলাম, কিন্তু দেওয়াটা মিথ্যা হল না, এই টুকু। অন্যায়ের বিনাশের জন্য দধীচির আত্মদান-ইন্দ্ৰ বীজ নিয়ে খেলা করবে: বলে নয়। আমি দধীচির মেয়ে নই। যদি হইও দধীচির মেয়ে, আমার অস্থির বস্ত্ৰ নিবে গেচে । একটু তাপ শুধু আছে নেবা বঞ্জের ভৰ্ম্মে। সেইটুকু যদি বরফের ঘর গরম রাখতে ব্যয় করে যেতাম, মরবার সময় অপচয়ের স্মৃতিতে আমার আত্মা দগ্ধ হত। আজীবন স্বামিসেবার পুণ্যও পুড়ে হত। ভস্ম! কারণ, সারাজীবন চোখ বুজে কাটিয়ে মরবার সময় আমি চোখ মেলে দেখতাম দুর্লভ জীবন কার পূজায় কাটল। তখন জীবনব্যাপী দানবী-পূজার আপসোস নিয়ে আমায় পরলোকে যেতে হত। আপসোস নিয়ে মানুষ কোন পরলোকে যায় জান ? নরকে । আমি বললাম, এটুকু বুঝলাম। কিন্তু আসল কথা এখনো বলি নি । তোমার তা শুধু স্বামী নয়, দুটি ছেলে। a V-fifts o