পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• 9ܘܗ ܓ জানালার ফাকে চােখ রেখে দাঁড়িয়ে ঘামে সর্বাঙ্গ ভিজে যায় শরৎ হালদারের, বন্দুক-ধরা হাতটা পৰ্যন্ত থারথার কঁাপিতে থাকে। ফুপিয়ে কঁদে মেয়ে বিনু, ছেলের বেী রাধা গা থেকে গয়না খোলার ব্যস্ততায় আলগা অনন্তটা টানাটানি করে যেন খুলতে পারে না, হালদার গিয়ী মাটিতে কপাল ঠেকিয়ে উপুড় হয়ে পড়ে থাকে সিঁদুর-মাখা লক্ষ্মীর পটটার সামনে, দাতে দাত চেপে মূক হয়ে থাকে হালদারের দুই জোয়ান ছেলে। খিড়কি দিয়ে বেরিয়ে কখন লোক গেছে। থানায় খবর দিতে, এখনো এল না নৃপেন দারোগা দলবল নিয়ে। এমনি বিপদে দয়া করে ছুটে আসার অগ্রিম মূল্য নিয়ে রেখেছে, তৰু।। হালদারের জন্য জীবন দেয় উল্লাস, এই তার শেষ কাজ। কিন্তু জীবন দিয়েও যেন অপকার করে যায় শেষবারের মত। শূন্য গোলা দেখে ক্ৰোধে, ক্ষোভে ফুসতে ফুসতে ফিরেই যেত ধৈৰ্যহারা মরিয়া মানুষগুলি, হালদারের বাড়ি চড়াও হত না। ধান তারা লুটতে আসেনি, কিনতে এসেছিল গায়ের জোরে—তার বেশী আর কিছু করার কথা মাথায় ছিল না। উল্লাসের অনেক দিনের পুরনো পাওনা ঝোকের মাথায় মিটিয়ে দিয়ে মনের গতি যেন ঘুরে গেছে তাদের। গোলার ধান কোথায় গেল এ প্রশ্নের জবাব হালদারদের কাছেই আদায় করার সাধ ८ख्C2igछ । জবাব চাই, ধান কি হল । জবাব দিতে হবে হালদারকে । উঠানের দালানের সামনে তারা ভিড় করে দাড়ায় । ডাকে, হালদার মশায়, হালদার মশায় ! দরজা জানাল ভেতর থেকে বন্ধ। কিছুক্ষণ কারো সাড়াশব্দ মেলে না। তারপর ধীরে ধীরে জানালার একটা পাট খুলে গিয়ে শিকের ফাকে দেখা যায় বড় মেয়ে বিনুর ভয়ার্ত মুখ। বাবা বাড়ি নেই। বাড়ি আছে, লুকিয়ে আছে, গর্জন করে ওঠে তারা, আসতে বলে হালদার মশায়কে, নইলে দরজা ভেঙে ফেলব। বন্দুক তোলে হালদার, বড় ছেলে ঠেকিয়ে রাখে। বলে, একটা বন্দুকে কি হবে ? আরও ক্ষেপে যাবে সবাই। বোনকে সরিয়ে সে জানালায় দাড়ায়। বলে, কি চাই সোনা মণ্ডল ? o श्व-निर्दीङि १iछ o