পাতা:মানিনী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মানিনী।
৩১

ছিলেন, তাহাও তাঁহার নিকট প্রকাশ করিয়া বলিলেন। উত্তরে ডাক্তার বাবু সে সমস্ত কথা অস্বীকার করিলেন ও কহিলেন যে, সেই দিবস সন্ধ্যার সময় তিনি কোন গাড়ীতে কোনস্থানে গমন করেন নাই।

 ডাক্তার বাবুর কথা এবার বিপিন বিশ্বাস করিলেন। কিন্তু পরক্ষণেই ভাবিলেন যে, যাহাকে আমি মানিনীর সহিত একত্র একগাড়ীর ভিতর দেখিয়াছি, তাঁহার কথা আমি কিরূপে বিশ্বাস করিতে পারি? আবার ভাবিলেন, ডাক্তার বাবু, আমার ও মানিনীর পরম বন্ধু, তাঁহাকেই বা অবিশ্বাস করি কি প্রকারে?

 এইরূপ নানাপ্রকার ভাবনা চিন্তার পর বিপিন বাড়ীতে প্রত্যাগমন করিলেন; কিন্তু তাঁহার মনের গোলযোগ মিটিল না; তথাপি নানাস্থানে তিনি মানিনীর অনুসন্ধান করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন, কিন্তু কোনস্থানেই তাঁহার সন্ধান পাইলেন না।

 একদিবস সন্ধ্যার পূর্ব্বে বিপিন মনে করিলেন, সমস্ত কার্য্য পরিত্যাগ করিয়া রাত্রি দিন মানিনীর অনুসন্ধান করিয়া বেড়াইতে বেড়াইতে ক্রমেই শরীর দুর্ব্বল ও মন অস্থির হইয়া পড়িতেছে; আজ ময়দানে গমন করিয়া কিয়ৎক্ষণ পরিষ্কার বায়ু সেবন করিয়া দেখি, তাহাতেই যদি মনের অবস্থার কিছু পরিবর্ত্তন হয়।

 এই ভাবিয়া বিপিন ধীরে ধীরে পদব্রজে ক্রমে গড়ের মাঠে গিয়া উপনীত হইলেন, এবং ক্রমে ক্রমে ইডেন উদ্যানের নিকট গমন করিলেন। যে সময় তিনি ইডেন উদ্যানে গিয়া উপস্থিত হইলেন, সেই সময় সন্ধ্যা উওীর্ণ হইয়া গিয়াছে। উদ্যানের ভিতর কেল্লার গোরাগণ সমবেত হইয়া ব্যাণ্ড বাজা-