বলেচি, তা চিন্তা ক’রে বলা। অনুভূতি থেকে উদ্ধার ক’রে অন্য তত্ত্বের সঙ্গে মিলিয়ে যুক্তির উপর খাড়া ক’রে সেটা বলা। কিন্তু তার আরম্ভ ছিল এখানে। তখন স্পষ্ট দেখেচি, জগতের তুচ্ছতার আবরণ খ’সে গিয়ে সত্য অপরূপ সৌন্দর্য্যে দেখা দিয়েচে। তার মধ্যে তর্কের কিছু নেই, সেই দেখাকে তখন সত্যরূপে জেনেচি। এখনো বাসনা আছে, হয়ত সমস্ত বিশ্বের আনন্দরূপকে কোনো এক শুভ মুহূর্ত্তে আবার তেমনি পরিপূর্ণভাবে কখনও দেখতে পাব। এইটে যে একদিন বাল্যাবস্থায় সুস্পষ্ট দেখেছিলুম, সেইজন্যেই “আনন্দরূপমমৃতং যদ্বিভাতি” উপনিষদের এই বাণী আমার মুখে বার-বার ধ্বনিত হয়েচে। সেদিন দেখেছিলুম, বিশ্ব স্থূল নয়, বিশ্বে এমন কোনো বস্তু নেই যার মধ্যে রসস্পর্শ নেই। যা প্রত্যক্ষ দেখেচি তা নিয়ে তর্ক কেন? স্থূল আবরণের মৃত্যু আছে, অন্তরতম আনন্দময় যে সত্তা, তার মৃত্যু নেই।
৩
বর্ষার সময় খালটা থাকত জলে পূর্ণ। শুকনোর দিনে লোক চলত তার উপর দিয়ে। এ পারে ছিল একটা হাট, সেখানে বিচিত্র জনতা। দোতলার ঘর