পাতা:মামলার ফল-রবি রায়.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूडीब्र शृथ [ দৃপ্তরূপ পূর্বাচ্চুযায়ী। পর্দ উঠলে দেখা যাবে নিজের ঘরের দাওয়ায় গঙ্গামণি একটা কুলোয় করে যষ্ঠ পূজার নানাবিধ অৰ্ঘ্য ইত্যাদি গোছগাছ করতে করতে নিজের মনে বক বক করছে ] গঙ্গ। শত্তর, শক্ত ব্ৰ সব । আজ ষষ্ঠ পুজোর দিন, বাড়ী ভরে ছেলেপুলের সব খাবে দাবে, ফেলবে ছড়াবে। তা লয়, আবাণীর বেটি নিজের ছেলেমেয়ে কটাকে এটুটাবার চোখের দেখাটাও দেখতি দিলনি। বলি, এতে কি তোদের ভাল হবে মনে করেছিল ? ভাল হবেনি । আজ এই ষষ্ঠীর দিনে এই যে মায়ের পরাণটায় দাগ দিলি, একি তোদের ধৰ্ম্মে সইবে ? সইবেনি। ওদিকে আবার গয়া মুখপোড়াও হয়েছে ঠিক তেমনি। অন্যদিন এতক্ষণে সাতবার করে এসে যুরে যায়, আর আজ মুখপোড়াটার সকাল খেকিই কোন পাত্তা নেই। [ বিন্দুঘর থেকে বেরিয়ে এলো ] বিন্দু ও ভারি উনি ধৰ্ম্ম দেখাচ্ছেরে! বলি, যাবে ক্যানে শুনি ছেলেমেয়েগুলো তোমাদের ঘরে ? এক মুঠো চিড়ে মুড়কির জন্তি বাচ্চ কাচ্চারা ওর ঘরে যাক—আর উনি তাই গা শুদ্ধ, নোককে ট্যাড়া পিটিয়ে জানিয়ে আস্বন। গঙ্গা । মুখে তোর পোকা পড়বে ছোট বোঁ, আজ এই ষষ্ঠীর দিনে মুখে এখনো জলটুকু পজ্জন্ত দিইনি—সেই মুখে তোরে বলে গেন্থ । [ বাইরের দিকে প্রস্থান ] ওঃ ! ভারি আমার সীতা-সাবিত্তিরি এয়েছেন রে । উনি অভিসম্পাত দিলেন আর আমার মুখে অমনি পোকা পড়ি গেল। ষষ্ঠীর দিনে উনি এখনো মুখে জলটুকু দেন নি। আর আমরা খেন একেবারে মাংস পোলাও খেয়ে বসে আছি । [ নিজের ঘরেশ্ন দিকে তাকিয়ে ] বলি ঘরে বসে বসে এক গামলা পাস্তা তো খুব মায়তেছ, তোমার বড় ভাজের জাদিখ্যেতার কথাগুলো শুনলে । - বিন্দু