পাতা:মায়া-কানন.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়াকানন । ྋ གི་ সকরুণ ভয়ে) হে বনদেবি !—হে মাত !—এ বিপদে আপনি আমাদের রক্ষা করুন ! (মৃগয়াবেশধারী রাজকুমার অজয়ের প্রবেশ ) অজয় –(স্বগত) কি আশ্চৰ্য্য ! বরাহটা দেখতে দেখতে কোথা পালালো ? এই না সেই মায়াকানন ?— লোকে বলে, এই কাননে এক পাষাণময়ী দেবী-প্রতিমা আছেন—সূৰ্য্যদেবের কন্যারাশিতে প্রবেশ কালে সেই বনদেবীর পদে শুদ্ধ চিত্তে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে পূজা কেল্লে পুরুষ আপন ভাবী পত্নীকে আর স্ত্রী আপন ভবিষ্যৎ স্বামীকে সম্মুখে দেখতে পায় –(সম্মুখে দৃষ্টি করিয়া) বা ! ঐ যে ! আমার সম্মুখেই সেই পাষাণময়ী দেবী রয়েছেন । আর ওঁর পদতলে পুষ্পরাশিও বিকীর্ণ দেখতে পাচ্চি !—এই যে !—এ দিকে পুষ্পপাত্রে আরও অনেক ফুল সাজানো রয়েছে –এ সব কে রাখলে ? এই বিজন অরণ্যে ত জনপ্রাণীরও সঞ্চার নাই –(চিন্তা করিয়া) হুঁ, তাও ত বটে ! আজি যে রবিদেব কন্যার সুবর্ণ মন্দিরে প্রবেশ কোরবেন!—সেই জন্যেই বা কোনো অজ্ঞাতভাগ্য পরিণয়াকাঙক্ষী এই দেবীর পদতলে আপনার অদৃষ্ট পরীক্ষা কোরে গিয়েছে । (ক্ষণকাল নিস্তব্ধ থাকিয়া) তা বেশ ত ! আমিও কেন এই লগ্নে ভগবতীর পাদপদ্মে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে একবার ভাগ্য পরীক্ষা কোরে দেখি না। সেই-ই ভাল — (পুষ্প গ্রহণ করিয়া) হে বনদেবি! হে করুণাময়ি! যদি তামার ভাগ্যে বিবাহ থাকে, তবে যিনি তামার ভাবী পত্নী হবেন,