পাতা:মায়া-কানন.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

げ মায়াকানন । দয়া কোরে তারে আমার সম্মুখে উপস্থিত করুন। আপনার প্রসাদে র্যারে আমি এ স্থানে দেখতে পাবে, এ জন্মে র্তারে ছেড়ে অপর কোনো রমণীর পাণিগ্রহণ কোরবে৷ না, এই আমার প্রতিজ্ঞ । ( পুষ্পাঞ্জলি প্রদান । ) স্থন –(ইন্দুমতীর হস্ত ধারণ করিয়া সকৌতুক হাস্যে) সখি ! এখন তামারো বড় ভয় হোচ্চে !—(রাজপুত্রকে নির্দেশ করিয়া) ঐ যে যুব পুরুষটি দেখচে,— বিলক্ষণ জেনে, উনিই তোমার স্বামী । এখন দেখলে ত, বনদেবীর কি অপূৰ্ব্ব মহিমা । ইন্দু –(কপট ক্রোধে) সুনন্দা ! তুই চুপ কর। তোর কি একটুও লজ্জা নাই ?—ঐ মৃগয়াবেশী যে কে, তা ত আমরা জানি না –দেখ, ওঁর হাতে অস্ত্র আছে ! হয় ত আমাদের দুজনকেই উনি বিনাশ কোন্তে পারেন । স্থন –(সহস্যে ) সখি ! আমার আর সে ভয় নাই । উনিই এই সিন্ধু দেশের যুবরাজ। আমি ও রে অনেক বার দেখিছি । অজয় ।—(পরিক্রমণ পূর্বক উভয়কে অবলোকন করিয়া সবিস্ময়ে) এ কি ? এরা কে ?—দেবী কি মানবী ? — আহ ! কি অপরূপ রূপমাধুরী !—দেবকন্যাই বোধ হোচ্চে —নতুবা এমন নিবিড় তমসাচ্ছন্ন বনস্থলীতে মানবকুল-সম্ভব। এতাদৃশ মনোহর কমলিনী কি প্রস্ফটিত হওয়া সম্ভব ? (ক্ষণকাল নীরব থাকিয় ) হুঁ, তাও ত