পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
মায়া-মৃগ।

 লক্ষ্মণ। (শর সংযত করিয়া) আর্য্য! আপনকার আজ্ঞার অন্যথাচরণ করা কা’র সাধ্য?

 সীতা। দেবর লক্ষ্মণ! আর্য্যপুত্রকে এই জন্যই রঘু-কুল-তিলক বলে।

 লক্ষ্মণ। দেবি! অর্য্যের গুণগ্রাম ত্রিভুবন খ্যাত। দেখুন্‌, রাজ্যনাশে ও বনবাসে অর্য্যের মনে কিছুমাত্রও বৈকল্য নাই।—প্রবল বাত্যাবেগে। গভীরার্ণবও কখনো অক্ষুব্ধ দৃষ্ট হয় না। কিন্তু। অর্য্যের মন এততেও কিঞ্চিমাত্র বিচলিত হয় নাই। জগতে ঈদৃশ মহাত্মাই ধন্য!

 সীতা। অর্য্যপুত্রের সহ্যগুণ, মাতা বসুমতী অপেক্ষা ও অধিক; মনে কিছুমাত্র ক্ষোভ নাই।

 রাম। প্রিয়ে! আমার মনস্তাপের কারণ কি? ভরত ত আমার পর নয়, তবে তা’র রাজ্য ভোগে মনে ক্ষোভের উদয় হ’বে কেন? দেখ, সেও কিছু স্বেচ্ছায় রাজ্য পালন ক’চ্ছে না; আমার আজ্ঞাক্রমেই ন্যস্ত ধনের ন্যায় রাজ্যের রক্ষণাবেক্ষণ। ক’চ্ছে। আরো দেখ, পিতামাতার সেবাশুশ্রূষাদি করাই সন্তানের অনুষ্ঠেয় কার্য্য; তদ্বিপরীতাচরণে অশেষ অধর্মের সঞ্চার হয়। ভরত, পরম।