পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A o e মোহিতের পরিণাম অনুসন্ধান আরম্ভ হইল। আমি বলিলাম, “যে মেসে আমাদের দেশের ছেলে বেশী আছে, সেই রকম একটা মেসে গেলে ভাল হয়।” আমার কথা শুনিয়া মোহিত রাগিয়া উঠিল ; সে বলিল “বাঙ্গালদের সঙ্গে এক ८८न् भद्म क्व बन ।।” আমি বুঝিলাম, কলিকাতায়, ত্রিরাত্রি না যেতেই মোহিত কলিকামতাওয়ালা লাহুৱে হইয়া গিয়াছে, আর আমরা সবাই বাঙ্গল হইয়া গিয়াছি । কি করির, তাহাকে কৰ্ণধার কবিয়া যখন কলিকাতা-রূপ ाप्लेलाकैिक মহাশাগ্নিরের খেয়ায় উঠিযাছি, তখন সে যদি গাযে একটু জল ছিটাইয়াই দেয়, তাহ অবশ্যই সহ্য করিতে হইবে । মোহিত ও তাহার মামা মেস খুজিতে বাহির হইত, আমাকে সঙ্গে লইত না ; যাইতে চাহিলে বলিত “তুই ছেলেমানুষ, পাড়া গেয়ে, তুই সহরের কি জানিস।” ব্যস, চুপ। মোহিত একেবারে ভুলিয়া গিয়াছিল যে, সে আমার তিন মাসের ছোট, এবং সে তৃতীয় বিভাগে প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হইয়াছে, আর আমি প্ৰথম বিভাগে । সে আমাকে নিতান্ত নাবালক ও নালায়েকের দলে ফেরিয়া দিল । স্কুলে পড়িবার সময় পণ্ডিত মহাশয় যখন-তখন বলিতেন ‘বয়সেন্তে বৃদ্ধ হয় না, বৃদ্ধ হয় জ্ঞানে ।' এ ক্ষেত্রে তাহার বিশেষ প্ৰমাণ পাইলাম । অনেক অনুসন্ধানের পর হুজুরিমলের ট্যাঙ্ক লেনে একটা মেস পাওয়া গেল। সেই মেসের একটা ঘরই খালি ছিল ; তাহাতে দুইজনের থাকিবার কথা । মোহিত না কি প্ৰথমে আপত্তি করিয়াছিল যে, সে আমার সঙ্গে এক ঘরে থাকিবে না ; এক মেসে সে থাকিতে সম্মত হইয়াছে, সে কেবল আমি তাহার সঙ্গে কলিকাতায় আসিয়াছিলাম। বলিয়া । কিন্তু সে মেসে অন্য ঘরে কোন স্থান খালি ছিল না, অগত্যা --س?