পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ন্যায়বাগীশের মন্ত্রদান এসেছিল ; কিন্তু আমি তখন মায়ার বশীভূত হয়ে সে সময়টা যেতে দিয়েছিলাম। দেখ বাবা প্ৰসাদ, তোমাকে , কোন দিনই কিছু বলি নাই। তুমি যে বিদ্যাৰ্জন করলে না, কুসঙ্গে পড়ে উচ্ছঙ্খল হয়ে গেলে, তোমার যে পানিদোষ পয্যন্ত হ’ল, এ সব দেখে-শুনেও আমি কিছু বলি নাই।-কোন উপদেশ দিই নাই। এ সব যে তোমার চাই, তা আমি জানতাম। পাঁচ বৎসর পূৰ্ব্বেও যদি তোমাকে সেই শুভদিনে দীক্ষা প্ৰদান করতাম, তা হ’লেও তার পরে তোমাকে এই দুৰ্ভোগ ভুগতে হোতে । তা সেটা সেরে নেওয়াহ গেল । আজ প্ৰসাদ, তোমাকে আমি দীক্ষিত করব । আজি অষ্টমী ; আগামী অষ্টমাই মহাষ্টমী-মা মহামায়ার মহাপুজা । আমি আজ তোমাকে মন্ত্রদান করব ; আগামা মহাষ্টমীতে মহা-সন্ধিক্ষণে তুমি সিদ্ধিলাভ করবে । যাও বাবা, শীঘ্ৰ স্নান করে এস । অধিক বিলম্ব কোরে না,-আমার আর বেশী সময় নাই । যাও বাবা, বিষগ্ন হোয়ো না-কা তার হোয়ে না, যাও।” রামপ্রসাদ চলিয়া গেলে ন্যায়বাগীশ মহাশয় গৃহিণীকে বলিলেন “গিন্নি, আমি আজ তোমার পুত্ৰকে মহামন্ত্র দান করব । সম্মুখে মহাপুজা ! মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে তোমার পুত্র সিদ্ধিলাভ কররে। সোদিন গিন্নি । তোমার ছেলেকে সারাদিন উপবাসী থাকতে বোলো । সন্ধ্যার পর সে যেন আমার বিম্ববৃক্ষমূলে বসিয়া আমার প্রদস্তু মন্ত্র জপ করে । তারপর যা হয় দেখতেই পাবে গিন্নি । আমার জন্য বেশী দিন ভাবতে হবে না-অতি কম সময় গিন্নি ! অতি কম সময় । তোমার কিঞ্চিৎ বৈধব্য যোগ আছে যে ।” এই কথা বলিয়া ন্যায়বাগীশ মহাশয় চক্ষু মুদ্রিত করিলেন । কবিরাজ উঠিয়া গেলেন ।