পাতা:মালতী-মাধব.djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. .بهد তাহা ভুক্তভোগ ব্যক্তিই অনুভব করিতে পারেন, অস্তের বুঝিবার শক্তি নাই। হা মৃত্যু! তুই নিতান্ত বিচারবিমুঢ়, তোর দয়া ধৰ্ম্ম কিছুই নাই! তুই নবপ্রণয়বৰ্দ্ধিত দাম্পত্যসুখ ভোগ করিতে দিস না, তুই উৎসাছান্বিত যুবগণের প্রসন্ন বিদ্যার ও অভ্যস্ত সঙ্গণের পুরস্কার লাভ ভাল বাসিস না, কুমার কালে তুইই পিতৃ মাতৃ স্নেহ হইতে পুত্রকে বিয়োজিত করিম, এবং তুইই শ্রমশীল পুরুষকে সঞ্চিত সম্পত্তির অনধিকারী করিম ; বুঝিলাম, তোর অধীনতায় থাকিয়া মনুয্যের এ সংসারে সুখপ্রত্যাশা বিড়ম্বন মাত্র।” অনন্তর কহিলেন, “সখে ! সে যা হউক, নরপতির সৌজন্য কিন্তু চিরস্মরণীয়। দেখ, আমরা ঘোরতর অপরাধী, তথাপি নিরপরাধের ন্যায় অসম্ভাবনীয় অনুগ্রছ ও সৎকার করিলেন এবং অভীষ্ট বস্তু দানের অনুমোদন দ্বারা মনের ক্ষোভ দূর করিলেন। এখন চল, শীঘ্ৰ গিয়৷ মালতী ও মদয়ন্তিকাকে রণ রত্তান্ত বিজ্ঞাপন করি । যখন সমর ব্যাপার সবিস্তর বর্ণিত হইবে, তখন প্রিয়তমাঃ ব্রীড়াবিনম্র বদনে যে হর্ষ বিস্ময়সূচক য়স্মিত চপল কটাক্ষ কপ্লিবেন, তাছ। দেখিতে অতি মনোরম।” এই রূপ নান। আশা করিতে করিতে উভয়ে উদ্যানে প্রবেশিলেন। কিন্তু পূৰ্ব্বস্থানে আসিয়া কাহাকেও দেখিতে পাইলেন না। তখন মাধব কহিলেন, “বয়স্থ ! এ স্থান শূন্ত শূন্য কেন ?" তিনি বলিলেন, “বোধ হয়, আমাদিগের বিপদে অধীর হইয়া ভাষায় এই কাননে