মালতীমাধব । אא বশবর্তী হওয়া বুদ্ধিমানের কৰ্ম্ম নহে। যখন নিরঙ্কুশ ইচ্ছ। মনে রাজ্য অধিকার করে, তখন বিবেক শক্তির শরণাপন্ন হওয়া এবং তদীয় বিপক্ষে জ্ঞানান্ত্র ধা: | করা বিধেয় । বিবেকশক্তির প্রভা প্রদ গু থাকিলে কি তার প্রঃত্তি তিমির প্রাদুর্ভূত হইতে পারে ? প্রবোধ সুধাকরের ধাপনে ক্ষুধ নিরক্তি হইলে কি কখন নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি জনিত কটুরসে প্রবৃত্তি হয় ? অতএব চিরাভ্যস্ত জ্ঞানের আলোচনা কর হৃদয়ের বেগ নিরুদ্ধ কর এবং অধীর তীকে মনেমন্দির হটতে নিস্কাশিত কর । আধীর হইলে কোন কৰ্ম্মই সিদ্ধ হয় না, বরং অবিচলিত চিত্তে অভ টসিদ্ধির উপর চিন্তা করিলে অনেক উপকার দর্শিতে পারে ; অতএব চল, ভগবতী কামন্দকীর নিকট যাচ, তিনি ভিন্ন এ বিপদে আর কে রক্ষা করিবে ? মকরন্দ এই রূপে বুঝাইতে লাগিলেন, কিন্তু মাধবের অন্তঃকরণে তদীয় উৎ দেশ বাক্য স্থান প্রাপ্ত হইল না। যখন চন্দ্রি কবিরহে কুমুদকুল মুকুলিত হয়, তখন কি দিনকরের তমোহর কিরণ তাহার অন্তরে প্রবেশ করিতে পারে ? তখন মাধব মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন, কি আশ্চর্য! কি পার্শ্বে, কি সম্মুখে, কি পশ্চাৎ, কি অন্তরে, কি বাহিরে, যে দিকে দৃষ্টিপাত করি, সেই দিকেই তাহারে দেখিতে পাই ; বোধ হয়, যেন প্র প্লে কমলমুখী অপাঙ্গবিষ্কারিত নয়নে আমাকে দেখিতেছেন। পরে মকরন্দকে কহিলেন, বয়স্য ! আমার কেমনই দেহ দাহ উপস্থিত। মোছ আসিয়া
পাতা:মালতী-মাধব.djvu/২৮
অবয়ব