পাতা:মালতী-মাধব.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক। (; o; করত নন্দনের প্রতি প্রসন্ন হইয়। স্বয়ং মালতী সমপণ করিয়াছেন । তোমার ভ্রাতা আদেশ করিতেছেন, তোমরা আসিয়া বিবাহের তামোদ প্রমোদ কর । তখন মকরদ বলিলেন, বয়স্থ ! সে এই বাৰ্ত্ত। আর কি | মালতী ও মাধব ঐ কথা শ্রবণমাত্র অতিমাত্ৰ স্নান ও বিমন। হটলেন । মদয়ন্তিকা আনন্দে মালতীকে আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন, সখি ! এক নগরে নিবাস ও এক ত্র লিখেলা প্রযুক্ত এত দিন তামার প্রিাসখী ও ভগিনী ছিলে ; এক্ষণে আবার আমাদের গৃহলক্ষনী হইলে। পরিত্রাজিকাও বলিলেন, বৎসে মদয়ন্তিকে ! সৌভাগ্যক্রমে তোমার ভ্রাতার মালতী লাভ হইল। এক্ষণে তোমরা যার পর নাই সুখী হইলে । তিনি উত্তর করিলেন, সকলই আপনার আশীৰ্ব্বদের ফল । সখি লবঙ্গিকে ! এত দিনে তোমাদের পাইয়া মনের বাসন পূর্ণ হইল। সে উত্তর করিল, সখি! আমাদিগের তার কিছুই বলিবার নাই । এই রূপে তাহার তদনীন্তন মানসিক ভাব সংগোপিত রাখিলেন। অনন্তর মদয়ন্তিক ও বুদ্ধঃক্ষিত বিবাহমহোৎসবে যাইবার নিমিত্ত উঠিলেন। লবঙ্গিক কামন্দকীকে গোপনে বলিলেন, ভগাবতি । মকরন্দ ও মদয়ন্তিকার কটাক্ষ বিক্ষেপের ভাব দেখুন ; উহাদিগের নয়ন ঈষৎ বিদলিত নীলকমলের ন্যায়। তার আনন্দ, বিস্ময় ও অধীরত। যেন হৃদয়ে পৰ্য্যাপ্ত স্থান না পাইয়াই নয়নপথ দিয়া বহির্গত হইতেছে। বোধ হয়, উছারা মনে মনে প্রণয় সম্বন্ধ বন্ধন করিয়া থাকিবে । পরিত্রাজিক ঈষৎ হাস্য করিয়া