পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Neocs অবরোধ করেন। অবরুদ্ধ দুর্গ রক্ষার জন্য আদেলশাহ কর্তৃক মোবারক খান, বাহলুল খান এবং রনদৌলা খান প্রেরিত হইয়াছিলেন। ইহারা সকলেই নাসিরীখান নাসরৎজঙ্গের অতুলনীয় সাহস, রণদক্ষতা ও অধ্যাবসায় দর্শনে অতিমাত্র বিস্মিত হইয়া বহু আয়াসে আত্মরক্ষা করিতে থাকেন। কিছুকাল এইরূপেই অতিবাহিত হয়, ঠিক এই সময়ে দক্ষিণাত্যের সুবাদার আজম খান আসিয়া নাসরৎজঙ্গের সহিত যোগদান করেন। সুতরাং দুর্গারক্ষার আর উপায়ান্তর না দেখিয়া দুৰ্গরক্ষকগণ শক্রহস্তে আত্মসমৰ্পণ করিতে বাধ্য হন এবং ৪ মাস ১৯ দিন অসীম সাহসে দুৰ্গরক্ষার পর ইয়াকুত খোদাওন্দ খানের জামাতা মোহাম্মদ সাদিক দুর্গের চাবি নাসিরাৎজঙ্গের হস্তে অৰ্পণ করেন। অতঃপর নাসারাৎ জঙ্গ সদল বলে দুর্গে প্ৰবেশ। পূর্বক দুর্গশীর্ষে মোগল বাদশাহের বিজয় পতাকা উডউীন করিলেন। কান্দাহার-বিজয় শাহজাহানের সাম্রাজ্যলাভের চতুর্থ বৎসরে অর্থাৎ হিজরী ১০৪০ অব্দে ( ১৬৩০ খৃঃ ) ঘটিয়াছিল এবং এই বিজয় কাৰ্য্যের পুরস্কার স্বরূপ সম্রাট নাসরাৎজঙ্গকে আরও এক হাজার অশ্বারোহীর আধিপত্য প্ৰদান করিয়াছিলেন। অতঃপর নাসরাৎজঙ্গ এই বৎসরেই মাহী মোরাতিবের সহিত দাক্ষিণাত্যের বালাঘাটে প্রেরিত হন এবং ইহার পর বৎসর তিনি মালবের গবর্ণর নিযুক্ত হন । সম্রাটের রাজত্বের ষষ্ঠ বর্ষে মহাবীর মহাকাবৎ খান দৌলতাবাদ ধ্বংসের জন্য প্রেরিত হইয়াছিলেন এবং এই কাৰ্য্যে তাহার সহায়তার জন্য নাসিরাৎ জঙ্গও প্রেরিত হইয়াছিলেন। দৌলতাবাদের যুদ্ধে তিনি অসীম বীরত্ব ও বিপুল অধ্যবসায়ের পরিচয় প্ৰদান করেন । সম্রাট শাহজাহান তঁহার কাৰ্য্যে সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে পাচ হাজারী পদে উন্নীত করতঃ ‘খান দৌরানি’ উপাধীতে ভূষিত করেন। অপর একটি ঘটনা হইতেও নাসারাৎ জঙ্গের অমানুষিক বীরত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। কথিত আছে, জওহার নামে পরিচিত একজন দুর্দান্ত দসু্য তৎকালে দাক্ষিণাত্যে খুব উৎপাত আরম্ভ করিয়াছিল, সম্রাটের ও দেশীয় । রাজগণের লোকজন কোনরূপেই তাহাকে দমন করিতে পারিতেছিল না। জওহার ক্ষিপ্ৰকারিতা, শারীরিক শক্তি ও দস্যবৃত্তিতে এমনই ওস্তাদ হইয়া উঠিয়াছিল যে, প্ৰসিদ্ধ aथानिकदौझ११७ उदांद्र ,यूीन श्रेष्ठ ख्म श्राईड। ५३ খনাশুিনক মোেহাশঙ্কজাঙ্গী wraa. MAMVINAMA LLLLLLMLLLLLL LLL LLL LLL LLL LLL LLL LLL LLLLLLLLSLLLMLMSSSLLLLLLSSESSSSLL LLLLLL AAAmarAAAAAAAAAAAAAAAM arra aarala A [ ১ম বর্ষ, যষ্ঠ সংখ্যা ? Aaasa AMaaararaalalawa দসু্যদল কখনও সন্মুখযুদ্ধে অগ্রসর হইত না ; অতি সংগোপনে আত্মরক্ষা করতঃ সময় ও সুযোগ বুঝিয়া পথিক বণিকদল, রাজস্ববাহী সৈন্যদল এবং শান্তিপূর্ণ ধনী নাগরিকগণকে আক্রমণ, লুণ্ঠন ও পীড়ন করিয়া জীবিকা নিৰ্বাহ করিত । ইহারা অতর্কিত ভাবে সহস্র প্রহরী-বেষ্টিত শিবির মধ্যে প্ৰবেশ করিয়া নিমেষমধ্যে আপনাদের কাৰ্য্যোদ্ধার করতঃ ভোজবাজীর ন্যায় অদৃশ্য হইয়া যাইত। কিন্তু নাসিরাৎ জঙ্গ কিছুতেই ভীত বা পশ্চাৎপদ হইবার লোক ছিলেন না এবং আরন্ধ কাৰ্য সমাপন না করিয়া তিনি কখনই নিশ্চিন্ত হইতেন না। দক্ষিণাত্যে অবস্থান কালে তিনি এই দাসু্যপতিকে সমুচিত শিক্ষা প্ৰদানের নিমিত্ত কৃতসংকল্প হন এবং একদা বহু অনুসন্ধানের পর জওহারের সাক্ষাৎ লাভ করেন। তখন ইহার পিতাপুত্রে একস্থানে কোন বিষয়ের গুপ্ত পরামর্শ করিতেছিল। দূর হইতে দেখিতে পাইয়াই নাসরাৎজঙ্গ একটী তরবারী হস্তে উহাদের সন্মুখীন হন এবং কিছুক্ষণ উভয়ের সহিত যুদ্ধ করতঃ জওহার ও তাহার পুত্রের মস্তক দেহত্যুত করিয়া সম্রাট-সদনে উপহার প্রেরণ করেন। সম্রাট শাহজাহান নাসিরাৎ জঙ্গের এই অমানুষিক সাহসের জন্য তঁহাকে ‘বাহাদুর’ উপাধি প্ৰদান করেন । রাজত্বের ত্ৰয়োদশ বর্ষে সম্রাট শাহজাহান নাসিরাৎ জঙ্গকে কোন রাজনৈতিক কারণে দক্ষিণাত্য হইতে স্বাসকাশে আহবান করিয়াছিলেন এবং তিনি কাশ্মীর গমন কালে নাসিরাৎ জঙ্গকেও সঙ্গে লইয়াছিলেন। কাশ্মীর হইতে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন কালে নসরৎজঙ্গ লাহোরের দিকে অগ্রসর হন এবং একদা নগর হইতে দুই মাইল দূরে শিবির সন্নিবেশ করতঃ রাত্রিযাপন করিতেছিলেন। যখন শিবিরের লোকজন সমস্তই গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন ছিল, সেই নিশীথ সময়ে জনৈক খালেজাদ যুবক-অনুচর শয়নকক্ষে প্রবেশপূর্বক তাহার পেটে অস্ত্ৰাঘাত করতঃ “নোমকের’ মৰ্য্যাদা রক্ষা করে। অনুচরটা কাশ্মিরী ব্ৰাহ্মণবংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিল এবং স্বেচ্ছায় ইসলাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া জঙ্গ বাহাদুরের কৃপা প্ৰাখী হইয়াছিল। জঙ্গ বাহাদুর যুবকের সুন্দর গঠন সৌষ্ঠব ও দুরবস্থা দেখিয়া কৃপাবশে আপনার অনুচর করিয়া লইয়াছিলেন। যাহা হউক, জঙ্গবাহাদুর এইরূপ আকস্মিক उांब त्रांश्ऊ श्ब्रां७ यांझांश्ब्र हेक्रांएकहे नांनिशा झेब्र নির্থিবকারাচিত্তে আঘাতযন্ত্রণা সহ করিতে লাগিলেন এবং