শোফিয়া হঠাৎ জোরগলায় ব’লে উঠলো, ‘বোধ হয়’ নয়, ‘ভালো করেই’ জানতো।
সবাই নীরব, নিশ্চল···যেন জমাট বেধে গেছে শীতে।
রাইবিন ধীরে ধীরে বললো, আমারও তাই মনে হয়, সে জানতো। খাঁটি লোক, না ভেবে কোনো কাজে নাবে না।···সে জানতো, তার সম্মুখে সঙিন, তার সম্মুখে নির্বাসন। জেনে শুনেই সে গেলো। যাওয়া দরকার, তাই সে গেলো। যদি মা তার পথ রোধ করে শুয়ে থাকতেন, সে ডিঙিয়ে চলে যেতো। নয় কি মা?
হাঁ।
রাইবিন তার সঙ্গীদের দিকে চেয়ে চাপা গলায় বললো, এই হচ্ছে আমাদের আদর্শ নেতা।
আবার খানিকক্ষণ সবাই চুপচাপ বসে রইলো। তারপর ইয়াকব হঠাৎ বলে উঠলো, ইয়াফিমের সঙ্গে গিয়ে সৈন্য-বিভাগে যোগ দিলে আমাদের লেলিয়ে দেওয়া হবে এই পেভেলের মতো মানুষের ওপর।
রাইবিন গম্ভীর মুখে বললো, তবে আর কাদের ওপর লেলিয়ে দেবে মনে কর? আমাদেরই হাত দিয়ে ওরা আমাদেরই কণ্ঠরোধ করে। এইখানেই তো ওদের যাদু।
ইয়াফিম জেদের সুরে বললো, কিন্তু আমি সৈন্যদলে যোগ দেবোই! ইগ্নাতি বলে উঠলো, কে বারণ করছে তোমায়? যাও, মরোগে।···
তারপর হেসে বললো, গুলি যখন করবে আমাদের, মাথা লক্ষ্য ক’রে কোরো,···যেন এক গুলিতেই সাবাড় হই···আহত হ’য়ে মিছি-মিছি না ভুগি।
রাইবিন সঙ্গীদের লক্ষ্য ক’রে বললো, এই মাকে দেখ···ছেলেকে এঁর
১৩৯