হাঁ।
পরক্ষণেই এণ্ড্রি তাকে ঠেলে দিয়ে এগিয়ে এসে বললো, ও নয়, আমি এণ্ড্রি।
কর্তা নিকোলাইর দিকে কটমট ক’রে চেয়ে বললেন, হুঁশিয়ার! তারপর পকেট থেকে এক তাড়া কাগজ বের ক’রে ঘেঁটে এণ্ড্রিকে বললেন, এণ্ড্রি, রাজনৈতিক অপরাধে এর আগেও তোমার খানাতল্লাশ হয়েছিল?
হাঁ, রস্টোভ এবং সারাটোভে। তবে সেখানকার পুলিসের ভদ্রতা-জ্ঞান ছিল। আমার নামের আগে মিস্টার যোগ দিতে অবহেলা করেনি!
কর্তা ডান চোখ কুঁচকে, রগ্ড়ে, চক্চকে সাদা দাঁতগুলি বের ক’রে বললেন, তা’ মিস্টার এণ্ড্রি, তুমি কি জানে। কোন্ বদমাশরা এই বে-আইনী ইস্তাহার আর বই বিলি ক’রে বেড়ায়?
এণ্ড্রি জবাব দিবার আগেই নিকোলাই ব’লে উঠলো, বদমাশ তো আমরা প্রথম দেখছি এখানে।
কর্তা হুকুম করলেন, শুয়োরকে নিয়ে যাও এখান থেকে।
দু’জন সৈনিক নিকোলাইকে বের করে নিয়ে গেলো। খানাতল্লাশ শেষ হ’লে কর্তা বললেন, মিস্টার এণ্ড্রি নাখোদ্কা, আমি তোমাকে গ্রেপ্তার করলুম।
কি অপরাধে?
পরে বলবো। তারপর মার দিকে চেয়ে বললেন, লিখতে পড়তে জানো, বুড়ি?
জবাব দিল পেভেল, না।
৪৪