কর্তা ধমক দিয়ে বললেন, তোমায় কে জিগ্যেস করেছে! বুড়ি বলবে।
মার মনে রি-রি করে উঠলো একটা অপরিসীম ঘৃণা। কর্তার মুখের সামনে হাত নাচিয়ে বললেন, চেঁচিওনা, এখনো তুমি বড় হওনি। জানো না, কী দুঃখ, কী বেদনা...
পেভেল বললো, স্থির হও মা!
এণ্ড্রি বললো, বুকের ব্যথা দাঁত দিয়ে চেপে থাকা ছাড়া তো কোনো উপায় নেই, মা।
মা সে কথা কানে তুললেন না, চেঁচিয়ে উঠলেন, কেন তোমরা এমন ক’রে মানুষকে ছিনিয়ে নিয়ে যাও?
কর্তাও চড়া সুরে জবাব দিলেন, সে জবাব তুমি চাইতে পারোনা। চুপ কর...
মা ক্রুদ্ধা ফণিনীর মতো ফুলতে লাগলেন।
কর্তা তখন হুকুম দিলেন, নিকোলাইকে হাজির কর।
সৈন্যেরা, দু’জুনে দু’হাত ধ’রে নিকোলাইকে নিয়ে এলো। নিকোলাইর মাথায় টুপি...কি একটা দলিল পড়তে পড়তে কর্তার সেটা খেয়াল হল। পড়া বন্ধ ক’রে তিনি গর্জে উঠলেন, টুপি নাবাও...
নিকোলাই একটু রসিকতা করে বললো, আজ্ঞে হুজুর, আমার তো একখানা তৃতীয় হাত নেই যে আপনার হুকুম তামিল করব। দেখছেন, দু’জনে দু’হাত ধ’রে।
কর্তা একটু অপ্রস্তুত হ’লেন। তারপর নিকোলাই এবং এণ্ড্রিকে ধ’রে নিয়ে চলে গেলেন।
পেভেল বন্ধুদের হাসিমুখে বিদায় দিলো, আবেগে বলে উঠলো, আণ্ড্রে, নিকোলে ভাই!
৪৫