পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 龄 *চিন্তা-রহস্য ৭৮ কিন্তু কি আশ্চাৰ্য্যের বিষয়, আমরা সমস্ততে ভেদ দেখি-কারণ, গুণ । ব্যতীত বিষয়ের অস্তিত্ব নাই। ফলত কাৰ্য্য ব্যতীত ঘূর্ণমান জগতের গতি নাই। রূপান্তরই জগতের গতি। তবে সূক্ষেম এক হয়, স্কুলে নয়। ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুত ও ব্যোম ইহারা মহাভূত এবং পরস্পর ভেদাই ইহাদের মুলীভূত রহস্য; কারণ, পরস্পরের গুণগুলি পৃথক, আর পরস্পরে মিল নাই এবং সেই হেতু একটির সহিত অপরটির মিলনে নূতন ভূতের আবির্ভাব ও একটির সহিত অন্য একটির সংযোগে পুরাতন ভূতের তিরোভােব এবং অন্য একটির সহিত অন্য একটির বন্ধুতাতে স্থিতিভাব লক্ষিত হয়। কিন্তু কিসে কিসে মিলিয়া যে কি ভাব হয়, সেটি মানবাতীত । কারণ, আজ পৰ্য্যন্ত একীভাবে কোন জন্তুকে দেখিতে পাঞ্জয়া যায় না ; যদি যাইত, তাহা হইলে সেটি এক হইত। অতএব ইহা ধ্রুব নিশ্চয়, যে স্কুলে এক নয়, এক সূক্ষেম হয়। ভূত যত রূপান্তর হইয়া মহাভূতে মিশ্রিত হয়, ততই সে মহাস্কুল রূপে প্ৰকাশ পায়। স্কুলের সদৃশ ও বিসদৃশ পরিণাম স্কুল হয়। স্থলের মধ্যে চন্দ্র, সূৰ্য্য ও ক্ষিতি প্ৰত্যক্ষ এবং এই গুলির দ্বারাই স্মৃষ্টি, স্থিতি ও প্ৰলয় হয়। বাস্তবিক ইহাই পুনর্জন্ম। সূৰ্য্য রশ্মির দ্বারা পরিমিতরূপে রসকে আকর্ষণ করিয়া শূন্যে মেঘরূপে পরিণত করে ; মরুত স্বভাবসিদ্ধগুণে ঘনীভূত ঘনকে ভগ্ন করে ; ক্ষিতি স্বধৰ্ম্মগুণৈ জলকে গ্ৰহণ করে । চন্দ্ৰ পরিমিতরূপে রস দেয় ; আর রসাবতী স্বধৰ্ম্মগুণে রসকে গ্ৰহণ করে। এই প্রকার অপূর্ব পাকপ্ৰণালীতে, অল্পটি প্ৰস্তুত হইয়া জন্তুর জীবন-ধারণের কারণ হয় এবং বীজটি যোনিক্ষেত্রে রূপান্তর প্রাপ্ত হইয়া নুতন ভুতের প্ৰকাশক হয়। অতএব সর্গপ্ৰাপ্তি অর্থাৎ পুনর্জন্ম-মর্ত্য হইতে সর্গে যায়, সর্গ হইতে মৰ্ত্ত্যে আইসে-এই সর্গ ও মর্ত্য গুণের লীলা ব্যতীত আর কিছুই নয়।