পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশেষটি ও বিশেষটী । v9. সর্বভুত ব্যষ্টিরূপে প্ৰকাশ পায়। জরায়ুজ, অণ্ডজ, স্বেদজ ও উদ্ভিজ্জ-এই চারিটি পৃথক পৃথক ভাবে ভাবান্বিত হইয়া ও পৃথক পৃথক সংজ্ঞাতে সংজ্ঞাবিশিষ্ট হইয়া, স্বীয় স্বীয় ধৰ্ম্মগুলিকে রক্ষণ করে ; এবং ইহারা ভুত নামে কথিত ও স্কুল নামে বর্ণিত হয় ; ফলত ইহাদিগের সমষ্টিতে-সূক্ষেম “এক ব্যতীত দ্বিতীয় নাই” এই কথার গাথাটি অঙ্কিত; সেটি মনের অতীত, অনন্ত, অপার ও দৃষ্টান্তরহিত। একে ধৰ্ম্ম নাই ও কৰ্ম্ম নাই, পাপ নাই ও পুণ্য নাই, মৃত্যু নাই ও জন্ম নাই, জ্ঞানী নাই ও অজ্ঞানী নাই, ধৰ্ম্মী নাই ও বিধৰ্ম্মী নাই, মিত্ৰ নাই ও শক্ৰ নাই এবং রূপ নাই ও বিরূপ নাই । এক কে কেহ টুকরা টুকরা করিয়াছে, কেহবা ঐ টুকরাটিকে জুড়িয়া এক করিয়াছে। কিন্তু কে কতদূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছে, তাহা এক জানেন। অপর সকলেই বহু, কি করিয়া জানিবে ? যদি বল সমস্তই এক, তাহা হইলে বলিবার বা লিখিবার কিছুই নাই। দেখ দেখি শ্রেষ্ঠ মনীষীর কি উৎকৃষ্ট এক ! সে এক চক্ষে পুরাণ প্রসঙ্গের সুখের ও দুঃখের লীলাতে কাঁদিয়া বুক ভাসাইয়া দিতেছে এবং অপর চক্ষে দর্শনের বিচারে যাতনায় অস্থির হইয়া চক্ষের জলে অভিষিক্ত হইতেছে ; কিন্তু দুইটি চক্ষুর মধ্যে যে জ্ঞান চক্ষুটি আছে, সেটিকে অনিমেষ স্থিরভাবে রাখিয়া, দুটি চক্ষুর কাৰ্য্যগুলিকে একভাবে লইতেছে। একে জন্ম ও মৃত্যু নাই, জ্ঞানী ও অজ্ঞানী নাই, ধৰ্ম্মী ও বিধৰ্ম্মী নাই, মিত্র, ও শত্ৰু নাই এবং রূপ ও বিরূপ নাই ; খালি আছে এক ব্যতীত দ্বিতীয় নাই । এই একটী সূক্ষা-অব্যক্ত-সমষ্টি-ব্ৰহ্ম—এক । ব্যষ্টিতে বৈশেষিক ‘জ্ঞান না জন্মিলে সমষ্টিতে ভক্তি হয় না । যখন এক বহু হইলেন এবং যখন তিনি বহুকে বহু ভাগ করিলেন, তখন তিনি বিশেষ্যটীকে শিক্ষা দিবার ; নিমিত্ত প্ৰত্যেক ভাগের