পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

as চিন্তা-রহস্য । পুরুষকার । কোন কালে কোন স্থানে মড়া কাৰ্য্য করে নাই। জীয়ন্ত মানবগণ পুরুষকারের দ্বারায় কাৰ্য্য করিয়াছে। যে দেশে পুরুষকার নাই সে দেশে চোঁদপুরুষ নাই। “ ৰঙ্গদেশে পুরুষকার নাই বলিয়া চোঁদপুরুষের অভাব হয়। ঐভু রামচন্দ্ৰ প্ৰভু কৃষ্ণ, প্ৰভু বুদ্ধ, প্ৰভু ধীশুখ্ৰীষ্ট ও প্ৰভু মহম্মদ ইহারা অবতার বলিয়। কথিত এবং জগতে ইহাদের মত পুরুষকারের কার্য। আজ অবধি অন্য কেহই করে নাই, তজজন্য জগতের ভিতর অন্য কেহই চোঁদপুরুষ হইতে পারে নাই। কোন কালে মড়া হইয়া (অর্থাৎ পুরুষাকার বিহীন হইয়া) কেহ চৌদ্দপুরুষ হয় নাই ও হইবে না। রামায়ণে প্ৰভু শ্ৰী রামচন্দ্রের পুরুষকার দেখ,--শ্ৰীমদ্ভাগবতে প্ৰভু শ্ৰীকৃষ্ণের পুরুষকার দেখ,— বৌদ্ধ চরিতে প্ৰভু বুদ্ধদেবের পুরুষাকার দেখ, — বাইবেলে প্ৰভু যীশু গ্ৰীষ্টের পুরুষকার দেখ,-কোেরাণে প্ৰভু মহম্মদের পুরুষকার দেখা। এই সব পুস্তক দেখিলে জানিতে পারা যায় যে জগতে পুরুষকার ব্যতীত কাৰ্য্য হয় না। এই সকল প্ৰভুদিগের জগতে আবির্ভাব হইবার আর কোন উদ্দেশ্য নাই, খালি নিজেদিগের পুরুষকারের দৃষ্টান্তের দ্বারা জাগতিক জনকে জগত অনিত্য জ্ঞােনরূপ গাঢ়তম ধাঁধা হইতে উদ্ধার করিয়া আলোকে লইয়া আসা। বাস্তবিক প্রভুরা পতিতপাবন হন। ধৰ্ম্মের অভাব থাকিলে ব্যক্তিগত চোঁদপুরুষের অভাব হয়, আর ব্যক্তিগত চোঁদপুরুষের অভাব ঘটলে মানসিক তেজের অভাব হয়। এই যুক্তিটি কতদুর সত্য, নিজের নিজের চোঁদপুরুষ দেখিলেই অনায়াসে জানিতে পারা যায়। যে ব্যক্তির চোঁদপুরুষ যতটুকু পুরুষকার করিয়া গিয়াছে, পরবংশধরদিগের ভিতর ততটুকু মানসিক তেজ আছে, কিন্তু অবতারকে পূর্বপুরুষ করিলে সহস্রপুরুষপরম্পরায় তেজীয়ান হয় ।