পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্য । ৯৩ কাটিবে, আর বাহাে “আমি বহু হইব।” এইটিকে পুরুষকারের নিয়মের দ্বারায় কাৰ্য্য করিয়া সামাজিক ধৰ্ম্মকে বিধিমতে পালন করিবে । আচাৰ্য্য বলিয়া একটি বংশ থাকিবে না। যেই গুণী হইবে, সেই আচাৰ্য্যের উপযুক্ত পাত্ৰ হইবে। কিন্তু যদি আচাৰ্য্যটি বংশগত হয় - তাহা হইলে গুণের আদর না হইয়া বরং বংশের আদর বেশী হইবে । ফলত বংশের আদর হইলে এক জনকে চিনির বলদ হইতে হয়, অপর জনকে বসিয়া চিনি খাইতে হয়। ”像 একতা না আসিলে ভ্ৰাতৃ ভাব হয় না, ভাতৃভাবের অভাব হইলে একতাটির অভাব হয়, বাস্তবিক একতাটি সমাজের ভিতর না থাকিলে সামাজিক ধৰ্ম্ম থাকে না । ধৰ্ম্ম ক্ষীণ হইলে বলের হ্রাস হয়, বলের হ্রাস পাইলে কুড়ের জন্ম হয়, কুড়ে জন্মিলে অলস তাটি বৃদ্ধি পায়, অলসতাটি বৃদ্ধি পাইলে পুরুষকারটি উপিয়া যায়, আর পুরুষকার না থাকিলে মানব কীৰ্ত্তিমান হইতে পারে না, বাস্তবিক কাৰ্ত্তি না থাকিলে জীয়ন্ত থাকিয়াও মড়ার তুল্য হইয়া থাকিতে হয়। অতএব অবতারের উপদেশগুলি জাগরূক রাখিবার জন্য আচাৰ্য্যের প্রয়োজন, কেননা আচাৰ্য্যেরা অবতারের গুণগ্ৰাহী হয়। উপযুক্ত আচাৰ্য্য সমাজের ভিতর না থাকিলে ধৰ্ম্ম প্রচার হয় না ; সামাজিক ধৰ্ম্ম না থাকিলে একতা আইসে না । ফলত সমাজগঠন করিতে হইলে আচাৰ্য্যের প্রয়োজন ।