পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቌዩ፡8 Cee-sty বোকাচাঁদ,--বুঝেছি, ঘুকনিতেই জড় সড়, তবুও খাতা খুলে নাই। নদেরচাঁদ,-তোমার আর ফাজিলিমি চলবে না, এইবার জোঁকেব মুখে মুন পড়বে। বোকাচাঁদ,-আর নুন দিতে হবে না, আপনিই গুটিয়ে গেছে ; বাপ দাদাদের বিষয় পাই নাই যে পাঠা হব, আর দেবলেরা মজা করে খেয়ে পুত নরক থেকে উদ্ধার করে দেবে। পেটের দায়েই অস্থির, আমার লেখা পড়ায় কাজ নাই, আর পয়সাও চাইনা, এ দুটো মাথাটাকে গুলিয়ে দেয়। একটা বাক চাতুরিতে মজা লোটে, আর একটা ধনী হয়ে মজা দেয়। বোকা আছি ভালই আছি, আজকের আজ বুঝলাম, কালকের কাল বুঝব, তা হলেই রোজের জমা খরচ রোজ বুঝলাম, পরে মাথা ঘামিয়ে কালকে বুঝে কাজ নাই। কালেতে কালেতেই কালে খায়, আগে গেলে বাঘে খায়, পিছে গেলে রাজা হয়। বুকনিতে আর কাজ নাই, যা দেখলাম তাই করলাম, মোটা মুটিই ভােলরে বাপু, আজ মাছের ঝোল, কাল ডাটা চড়চড়ি, এরকম বিদ্যাবুদ্ধিতে কাজ নাই । নদেরচাঁদ,-বোকাচাঁদ ; ভুড়ভুড়িচাঁদ কি বলে শুন না। ওহে ভুড়ভুড়িচাঁদ ! তুমি যে কাল, কাল কি বল্লে ? অার একবার বােকচাদকে বল না ? ভুড়ভুড়িচাঁদ,---কালের আকার নাই, আদি নাই, মধ্য নাই, শেষ নাই, কালকে হারাতে কেহ পারে না, কালকে অজানিত বলে। সূৰ্য্যের দ্বারা যে কালকে ঠিক করা যায় তাহ কল্পিত, জগৎটাই কল্পিত, খালি ংস্কারের কারণ নানা রকম দেখি ; কাল যখন অনন্ত, কাল হইতে যাহা তাঙ্গাও অনন্ত, ইহার কারণু জগৎটি অনন্ত । বোকাচাঁদ,-তুমি যা বল্পে সবই ঠিক, তবে কি জান ভুড়তুড়িচাঁদ ! পুকুরে যেটা ভুড়ভুড়ি কাটে সেটাও যা আর পুকুরটাও তা। বেশ, বেশ ।