পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন ইয়ারের ভেট । >७८ =ت বোকচাঁদের কথায় ভুড়ভুড়িচাঁদের রাগ হইল, সে বলিল,- বোকাচাঁদ ! তুমি বোকা তাই বুঝতে পারলে না। ভুড়ভুড়িটা কোথায় কাটিতেছে, পুকুরে না। আর কোথাও ? যদি পুকুরে হয় তবে সব এক নয় কি ? বােকাচাঁদ,—যদি সব এক, তবে কেন তুমি কাৰ্য্য করা ? কেন তুমি আমায় বোকা বল ? সূৰ্য্যর দ্বারা যে কাল ঠিক করা হয় সেটিকে কাল্পনিক বল কেন ? কাল অনন্ত, কাল হইতে যাহা তাহ অনন্ত, এই জন্যই সব বিষয়ই অনন্ত, এ কথা ঠিক বলেছ, কিন্তু ঠিক ধরতে না পেরে মাঝে মাঝে ভুড়ভুড়ি কাটছ । এই জগৎটি যদি কাল্পনিক হয় তাহা হইলে তুমি যা বলছি তাও কাল্পনিক, তুমি তো আর জগৎ ছাড়া নয় । ভাষা শিখিলে হবে না, তলিয়ে দেখতে হবে ভিতরে কি আছে। এক বোকা পাঠা ভাল, নয়তো বৃহস্পতি হওয়া চাই, মাঝা মাঝিটা বড় সর্ববনেশে ব্যাপার । ভুড়তুড়িচাঁদ, —“তুই কিছুই জানিসনি, তুই নিজে বোকা পাঠা, তোর কাণ্ডাকাণ্ড জ্ঞান নাই। বোকাচাঁদ ও য। আর ভুড়ভুড়িচাঁদ ও তাই, আহা কি বিদ্যা বুদ্ধি ! তবে কি করে জগৎ উৎপত্তি হয় শুন :- প্ৰথমে পুরুষ যাহা অব্যক্ত বলিয়। কথিত ; পুরুষকে কাল ও শিব কিম্বা যে যাহা বল কোন ক্ষতি নাই। প্ৰকৃতিটি অব্যক্ত হয়, কেননা বিশ্বাস ব্যতীত ইহা ঠিক করিবার উপায় নাই এবং ইহাকেই প্ৰকৃতি তত্ত্ব কহে। প্ৰকৃতি তত্ত্ব হইতে মহাতত্ত্ব, মহাতত্ত্ব হইতে অহংকার তত্ত্ব, অহংকার তত্ত্ব হইতে একাদশটি বৈকারিক তত্ত্ব, যথা : -আকাশ, মরুত, তেজ, অপ, ক্ষিতি, শব্দ, স্পৰ্শ, রূপ, রস, গন্ধ ও মন । এই চতুৰ্দশ তত্ত্ব, আবার চতুবিংশতি করিতে হইলে কৰ্ণ, ত্বক, চক্ষু, জিহবা, নাসিকা, বাক, পাদ, পানি, লিঙ্গ, গুহ এই গুলিকে পরের পর ধরিতে হয়। কিন্তু চতুর্দশ তত্ত্বতেই সমস্ত চলে, কেননা আর দশটা অপর গুলির