পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 0 0 প্ৰেম-রহস্য ইহাদের মানসিক চিন্তা ভারতবর্ষের অন্যান্য সকল প্রদেশের লোকের অপেক্ষা অধিক । যত মানসিক চিন্তা অধিক হয় ও সেই চিন্তার ফল নিৰ্ম্মফল হয়, ততই দেহের ভিতর খারাপ হইয়া যায় ; কারণ চিন্তার সম জ্বয় আর নাই। দেহের ভিতর খারাপ হইলে দেহের দুৰ্ভিক্ষ হয় ; আর দেহের দুৰ্ভিক্ষ হইলেই সংক্ৰামক রোগ হইয়া মড়ক হয়। ধাঙ্গর, মোতুয়া ও কুলিরা যে অবস্থায় থাকে। তাঁহারা রোগে মারা যাইবার কথা, কিন্তু উহারা যত পরমায়ু পায়, খোষ-পোষাকী ও পরিষ্কৃত আবাস।বাসী ভারতসন্তানগণ তত পায় না । কারণ সেই ধাঙ্গড় প্রভৃতি লোকেরা দশ টাকা মাসিক উপাৰ্জনে শান্তিভোগ করে । শান্তিভোগে রোগ কম হয় । যাহারা সহরের সন্নিকটে বাস করে তাহদের চাল চলন সবই সহরের বাতাসে একটু বদল হয়, এই জন্য কিছু কিছু ভোগ করে ; কিন্তু আজ পাড়া গেয়ে যাহারা খোষ-পোষাক ও পরিষ্কার আবাসের ধার ধারে না, ইংরাজ বাহাদুরকে কখন দেখে নাই, পাশ্চাত্য সভ্যতা কি কখনও শুনে নাই, তাহারা অকাল মৃত্যুতে প্ৰায়ই অরে না ; এই জন্য তাঁহাদের দেহের ভিতর মড়ক ও দুৰ্ভিক্ষ অন্যের চেয়ে কম। সহরে যােত এপিডেমিক, অজ পাড়াগাঁয়ে কখনও তত নয়, যেহেতু পল্লীগ্রামবাসীরা ভ্ৰষ্টাচারী নহে। ভ্ৰষ্টাচারই দুৰ্দশার মূল। স্বভাব একটি ভয়ানক সামগ্ৰী, যে ব্যবহার বংশাবলী ক্ৰমে চলিয়া আসিতেছে, সে ব্যবহারের পরিাবর্তনে অপকার ঘটিবার সম্ভাবনা । মৎস্যকে হীরক খচিত স্বর্ণ খট্টাঙ্গে রাখিলেও জীবন ধারণ করিতে পারে না, কারণ মৎস্য জলচর। গগুগ্রাম ও ছোট ছোট গ্রাম হইতে মিউনিসিপালিটী রহিত হইলে গৃহী ঘরের আর একটা বাখরা হইতে অব্যাহতি পায়। ভারতবর্ষ পরাধীন দেশ। সকল বড় বড় ব্যবসা রাজপুরুষের