পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুভিক্ষ ও মড়ক। Rps হাতে ; মে দিন কৃষিকাৰ্য্য হস্তগত হইবে, সেই দিন হইতে দুৰ্ভিক্ষ vu क्षदेश মাড়কের সংখ্যা অধিকতর বৃদ্ধি পাইবে । ভারত হইতে বেশী রপ্তানী হওয়াতে ভারতের অবস্থা বড়ই খারাপ হইয়া আসিতেছে । যত রপ্তানী বাড়িবে ততই গৃহের সঞ্চয় কমিবে ; বাস্তবিক গৃহে খাবার জিনিষের সঞ্চয় না থাকিলে মড়কের সংখ্যা বাড়ে। মুসলমান রাজার সময় রপ্তানা ছিল না, সেজন্য দুর্ভিক্ষ ও মড়ক কম ছিল, -যেখানকার জল সেই খানেই থাকিস্ত, অন্য স্থানে যাইত না । যদি ইংরাজ বাহাদুয়া ভারতবর্ষে বাস করিতেন তাহা হইলে ভারতবাসীকে এতদূর দুৰ্দশা ভোগ করিতে হইত না, কারণ এতদূর রপ্তানী করিতে অনুমতি দিতেন না । যে পরিমাণে খাদ্য দ্রব্য ভারতবর্ষ হইতে রপ্তানী হয়, সেই পরিমাণে যদি আমদানী থাকিত তাহা হইলে ভারতবাসীকে এত কষ্টভোগ করিতে হইত না । আপাতত খাদ্য সামগ্রীর বদলে খোষপোষাকের ও লোহা-লক্করের আমদানী হয় ; বস্তুত ইহাতে অপকার বই উপকার নাই । দিন দিন সর্বসাধারণের রোজগার খরচ হইতে কম হইতেছে, কিন্তু সকলকার খরচাটী বৃদ্ধি পাইতেছে, রাজপুরুষদিগের সুখ সচ্ছন্দতা দেখিয়া সকলেই চাল বাড়াইতেছে। তিন বৎসরের মত খাদ্য সামগ্ৰী সঞ্চিত রাখিয়া যদি রাজপুরুষেরা রপ্তানীর অনুমতি দেন, তাহা হইলে ভারতবাসীর আয় হইতে আর একটা বাখরা দিতে হয় না, কারণ জিনিষের দাম কম হইয়া যায়। বহু-বিবাহ, বাল্য-বিবাহ, বিধবা-বিবাহ ও বয়সে বিবাহগুলি আর একটা কারণ, - একথা চিন্তা-রহস্যে বিষদরপে বলা হইয়াছে। পৃথিবীর ভিতর কোন স্বাধীন দেশে এরূপ চারি রকম বিবাহের প্রচলন নাই, কিন্তু ভারতবর্ষে উক্ত চারি প্রকার বিবাহই চলিতেছে। ইংরাজ বাহদুরের এই সব বিষয়ে চক্ষু রাখা কৰ্ত্তব্য, কারণ এই চারি প্রকার বিবাহ প্ৰচলিত থাকায় অপত্যের সংখ্যা এত অধিক হইতেছে যে কেহই SV