হরগৌরী আশ্রম S9 অবৰ্ত্তমানের উপাসনা মানবের দ্বারা জ্ঞানকাণ্ডে হয়। ‘তুমি’ ও ‘আমি” হইতে কিছুই প্ৰভেদ নাই, তবে সূক্ষেম কিছু আছে। ‘তুমি’ বলিলে আর কিছুই নাই সত্য, কিন্তু “তুমি’ আবৰ্ত্তমান, আর “আমি” বৰ্ত্তমান। ফল কথা “তুমি’ ও ‘আমি” এক। তৰুমসি-সোহং । তুমি যে গৌরীর কথা বলিলে, তবে শুন । গৌরী বহু দিন তপস্যা করার পর আমাকে পাইযাছে, কারণ গৌরী প্ৰথম হইতে আমাকে - ব্যতীত আর কাহাকেও চিন্তা করে নাই। যত দিন গৌরীর ভেদজ্ঞান ছিল, তত দিন গৌরী আম৷ হইতে আলাহিদা ছিল, কিন্তু যে দিন হইতে ভেদজ্ঞানটী রহিত হইল অর্থাৎ অভেদ্য হইল, সেই দিন গৌরী আমাকে পাইল । চিন্তার আকসিনী শক্তি এত বেশী যে চিন্তার পদার্থ যত দূরে থাকুক না কেন, চিন্তাশীল চিড় চিড় করিয়া চিন্তার পদার্থকে নিকটে টানিয়া আনিতে পারে, – যেমন শৃঙ্খলাবদ্ধ মানব শৃঙ্খলধারীর BBD BDD DBBBD BB S ggg DBDS DBDBB DBD DDD ছিলাম ! আমি এক দেশের পুরুস, গৌরী অপর দেশের মেয়ে ; জাতি, কুল, বর্ণ, বিদ্যা ও বুদ্ধিতে আমি ও গৌরী পৃথক, কিন্তু চিন্তাশীল গৌরা সবকে এক করিয়াছে ! গেীরা যে দিন হইতে হরময় ব্যতীত আর কিছুই দেখিল না, ব! শুনিল না ও কথা কহিল না, সেই দিন হইতে আমি গৌরার পদতলে পড়িয়া আছি। মা !... তুমিও যে দিন সমস্ততে চিন্তামণিকে দেখিবে, সেই দিন তোমার চিন্তামণি তোমার পদতলে গড়াগড়ি যাইবে । পাগলিনী,-গুরুদেব ! যদি সমস্তই চিন্তামণি হইল, তাহা হইলে প্ৰভেদ জ্ঞান করায় কে ? হর,-যাত দিন ঐ প্রকার জ্ঞান থাকিবে ততদিন জ্ঞানকাণ্ডে থাকিবে। মানব পুরুষকারের দ্বারা ক্রিয়াকাণ্ডে অপর মানবের নিকট বাহাদুরি লইতে পারে, কারণ 'নিজ' ও ‘অপর’ এই জ্ঞানটী রহিয়াছে,
