পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जकि । o r, R89 বা ফোটা বিধেয় । যোগাভ্যাসী টিপ বা ফোটার আশ্রয়ে ভ্রর মধ্যে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে পারে এবং চক্ষুর দৃষ্টিটা ভ্রর মধ্যে স্থির • হইলেই , ত্রাটিক, যোগ সিদ্ধ হয়। টিপ বা ফোটা ব্যবহারের প্রথা বোধ হয় ইহা হইতে হইয়াছে। সুন্দর মূৰ্ত্তি দর্শন আর এক উপায় ; এই জন্য বোধ হয় ইষ্টদেবতার মূৰ্ত্তিকে দর্শন করিবার প্রথা হইয়াছে। নিজ মূৰ্ত্তিকে নিৰ্ম্মল জলের ভিতর, অথবা স্বচ্ছ দর্পণে দর্শন করিলে, বা ছায়া মূৰ্ত্তিকে আকাশে দেখিলে, অথবা সূৰ্য্যকে দর্শন করিলে আত্মোন্নতি হয়। অতএব উক্ত কাৰ্য্যগুলি নিয়মের সহিত অভ্যাস করিলে দেহের ভিতর বিজলীর ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যত বিজলীর অভ্যাস করিবে ততই উন্নতি মাগে উঠিতে থাকিবে । উন্নতি মাগে উঠিতে পারিলে চিন্তাশীল হয় ; চিন্তাশীল হইলে একটির উপর চিন্তা আসে ; আর একটির উপর চিন্তা বসিলে পাগল হইতে হয়। পাগল দুই প্ৰকার-পাগলা গারদের পাগল, আর এক চিন্তার পাগল প্ৰভু হর । প্ৰথমটিতে অপকার আছে, শেষটিতে উপকার হয়। উন্মাদ হইলে আদৌ চিন্তা থাকে না, আর সব চিন্তা শেষ হইলে শান্তি হয়। কিছুক্ষণ পরে প্রভু হর পাগলিনীর মস্তকে হাত দিল, অর্থাৎ তোমার শান্তি হউক। মস্তকের উপর আর কিছুই নাই, তাই মস্তকের উপর আশীৰ্বাদ করা বিধেয় । হাত বাড়াইয়া আশীৰ্বাদ করার ব্যবস্থাটি দেবলের হয়; কারণ কিছু দাও দেহটিকে রক্ষা করি ! পাগলিনী উন্মাদ হইয়া প্ৰথমে হরকেই চিন্তামণি বলিয়া ধরিল, পরীক্ষণে দেখিল প্ৰভু হর ; আমনি বলিল,-গুরুদেব ! আমার চিন্তামণি কোথায় ? হর, – তোমার চিন্তামণি আর একটু যাইলে পাইবে। উন্মাদিনীর চৈতন্য অবস্থায় বিষয় জ্ঞান, আর মুর্হস্থাবস্থায় চিন্তামণি ধ্যান। চিন্তামণির