vPoeg aqir মড়ল বাবু একে চায়তো আরো পায়, সময় কাটাইবার আর একটা বেশ উপায় হইল। ডাক ঘরে যাতায়াত, মেয়ে ও মন্দাকে চিটি পড়ে শুনান, দুপুর বেল পুকুরে ছিপ ফেলে মাছ ধরা, সকাল সন্ধে চণ্ডীমণ্ডপে খোস, গল্প করা আর দাৰা বড়ে টেপ, তাস খেলা, দাকাটা তামাক ঢালা আর সাজা, মেদীর ও মাদার কাছে রামায়ণ ও মহাভারত পড়া, তার উপর এই হুজুগ পেরে আর রক্ষা নাই, বিশেষত সাক্ষাৎ মা এসেচেন, গুরুমহাশয় বলচেন । মড়ল বাবু, গায়ে খবর খুব গাবিয়ে দিলে পর, গায়ের সকলে যে যেখানে যে অবস্থাতে ছিল, মার স্থানে উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিল। ঢাক, ঢোল, কঁাসির, ঘণ্টার আওয়াজে চারিদিকে হুলস্থূল পড়িয়া গেল, সকলে তথায় উপস্থিত হওয়াতে গুরুমহাশয় বলিতে সুরু করিল :- দেখা গ্রামবাসীগণ, কাল রাত্ৰিতে আমি স্বপ্ন দেখেছি, যেন মা আমায় বলিতেছেন, “আমি তোমাদের গ্রামে চঞ্জীরূপে যাইব, আমি পূর্বে ধবল ছিলাম, ইদানীং পীত হইয়াছি, আমার অন্তর ধবল আছে খালি উপর পীত হইয়াছে, তোমরা আমায় ভক্তি পূর্বক পূজা কর, তোমাদের মনোবাঞ্ছা যাহার যাহা কিছু থাকিবেক তাহা আমি পূর্ণ করিব। আর আমি যে স্থানে উঠিয়াছি সেই স্থানে থাকিব, অন্য স্থানে যাইব না।” তোমরা এখন সকলে মা চণ্ডীর পূজা কর, তিনি তােমাদের মনােবাঞ্ছা পূর্ণ করিবেন। নকড়ে, পাচকড়ে, জোরে ঢাক ঢোল বাজারে। ঢাক ঢোল বাজাতে বাজাতে ও লোকের মেলাতে একটি প্ৰসিদ্ধ চণ্ডীতলা হইয়া গেল । শিষ্য,-চণ্ডীতলা না হয় হইল, পূজা না হয় হইল, মনোবাঞ্ছা কি করিয়া পূর্ণ হয়। 41 গুরু-পুত্র, আমি চিন্তা-রহস্যতে ও প্ৰেম-রহস্যতে অনেক বলিয়াছি, আচ্ছ। আবার সংক্ষেপে বলি শুন ঃ
