পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QYe VWPrqa-ry বিশ্বাস মা হইলে কাৰ্য্য হয় না, কাৰ্য্য না করিলে ফল পায় না, বিশ্বাস কর ফলও পাবে। প্ৰথমে গুরুজনের নিকট শুন ও শিখ, তারপর নিজে মনন করা তারপর কাৰ্য্যকার, তদনন্তর সাক্ষাৎ কর, অর্থাৎ ফলভোগ কর । প্ৰায় দেড়শত ৰৎসর গত হইল তারকনাথ নামে একটী প্ৰসিদ্ধ স্থান বাহির হইয়াছে, সেই স্থানে কোটী কোটী লোক উৎকট রোগ श्gड अigद्धां*U व्लांड कब्रिCड0छ । শিষ্য, - তিনি তো সর্বস্থানে আছেন, তবে কেন তারকানথে যাইলে দুঃসাধ্য রোগ হইতে রোগী আরাম হয়, অন্য স্থানে হয় না । গুরু, - পুত্র, মানসিক বল যাহা উৎকট রোগকে আরাম করে। বাবা তারকনাথ আমার রোগকে নিশ্চয় আরাম করিবেন, রোগীর এই যে দৃঢ় বিশ্বাস, ইহাতেই রোগীর মানসিক বল বৃদ্ধি পায়, অন্য স্থানে রোগীর সে বিশ্বাস কোথায় । আরও দেখা পুত্র, একহারে ক্ৰমান্নয়ে ৰাবা বাবা বলিয়া ডাকিয়া গণ্ডা দিতে দিতে বৈদ্যাবাটী হইতে তারকনাথ যাওয়া কি কঠিন ব্যাপার। যাহার এইরূপ দৃঢ় বিশ্বাস থাকিবেক সে, বাবার স্থানে যাইলে তাহার রোগ আরাম হইবে, বিশ্বাসে মানসিক বল কত বৃদ্ধি পায় দেখ। যে রোগী ভুগে ভুগে জীৰ্ণ হইয়াছে, এমন কি দুই চারি হাত যাইতে কষ্ট বোধ করে, সেই রোগী বৈদ্য বাটী হইতে তারকনাথে গণ্ডী দিতে দিতে বিনা ক্লেশে অমৃত্যুফল লাভ করিতেছে। দেখ পুত্র, যাহারা ঘুষ দিতে যায় কিম্বা ঘুষ পাঠাইয়া দেয় তাহদের কিছুই হয় না, যদি হইত। তাহা হইলে তারকনাথের পাণ্ড জেলে যাইত না, বা মৃত্যু মুখে পতিত হইত না, বাবা ঘুষ খান না, যে বাৱ নিজের ভক্তি গুণে উদ্ধার হয় ।