to কথোপকথন-রহস্য liby ক্রেতা,-তুমি ছেলে মানুষ, কিছুই অবগত নহ, রং দেখিলেই ভুলিয়া যাও । যদি সাবালক হইতে তাহা হইলে তোমার এই প্রকার সংস্কারটা হইত না ; তবে মৃত্তিকা, প্রস্তর বা ধাতুর গড়া প্ৰতিমা অপেক্ষা ভাল, কেননা সংস্কারটীি কিছু উপরে উঠিয়াছে । বাস্তবিক তা নয়, খালি সংস্কারের দরুণ ভাল বলিলাম। ব্ৰহ্মের আকার আছে, ইহার কারণ তুমি উপাসনা করিতে পারিতেছ ; যদি ব্ৰহ্ম নিরাকার হইত, তাহা হইলে উপাসনা কোথায় ? এই সবগুলি উচ্চ ফাঁকির দর্শনে দেখিতে পাওয়া যায়। নিম্ন দর্শনে নিরাকার বটে, কিন্তু তুমি উহাকে উপাসনা করিত্বে পার না, উহার গুণ কীৰ্ত্তন করিতে পার না, নাম লইতে পার না, তবে উহাকে সকলকার কৰ্ত্ত— ইহা বলিতে পাের, কেননা সংজ্ঞাতে সংজ্ঞা হয় এবং সেইহেতু উহার আকার আছে, এইটি আমি বলিতে পারি ; কিন্তু তুমি জ্ঞানটিকে ও যুক্তিটিকে হারাইয়া অর্থাৎ ংস্কার গুণে একুল, ওকুল, দুকূলটিকে হারাইয়া, সাপ্ত, বেঙ পূজার । কামত অঙ্গহীন হইয়া অবশেষে স্বগে যাইতে পার ইহা স্বীকার করি । মহাজনেরা যেটির দরুণ সংজ্ঞা করিল, সেটি তাে কিছুই বুঝিলে না। “ষতো বা ইমানি ভুতানি জায়ন্তে” অর্থাৎ যত কিছু ভূত । যাহা হইতে উৎপন্ন হইতেছে । আকার না হইলে জন্ম হয় না। এবং যেটি হইতে আসিতে পারে, তখন আবার সেটিতে পুনঃ যাইতে পারে, অর্থাৎ তিনি আশ্রয়,-তােহা হইতে আসিতেছে ও তাহাতে পুনঃ যাইতেছে ; অতএব ভূতের আসাটি ও যাওয়াটি উভয়ই আকার হয়। তুমি আকার হও এবং যাহাকে তুমি উপাসনা কর, তাহাও আকার হয়। তবে তোমার ব্ৰহ্ম নিরাকার কোথায় ?-জ্ঞান ৰা যুক্তির মীমাংসা কোথায় ?- উচ্চ ফাঁকির দর্শন কোথায় ? - খালি মাক, নিজে ফাক, আর অন্যের কাছে জাক ।
