পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথোপকথন-রহস্য । ৪৩৩ bagi কিছু দিন পরে তার একটী শিষ্য অপর একটা স্ত্রীলোকের উপর কামাসক্ত হইয়া সর্ব সমক্ষে স্ত্রীলোকের সতীত্বটিকে নষ্ট করে । স্ত্রীলোকটী বুদ্ধিমান ব্যক্তিটির নিকট যাইয়া আদ্যোপােন্ত সমস্ত জ্ঞাপন করাইবার পর, সে বলিল,-মা ! তুমি বাটী যাও, ইহার সমুচিত শাস্তি আমি দিব। কিয়ৎক্ষণ পরে শিষ্যটি আসিয়া গুরুর সম্মুখে উপস্থিত হইল। সে শিষ্যকে সমস্ত ব্যাপার বলিল,— শিষ্য রাগান্বিত হইয়া উত্তর করিল,-ঠাকুর ! তোমার বেলা লীলা। খেলা, পাপ বলছে আমার বেলা । তোমার দেখিয়া আমি করিয়াছি। তুমি গুরু, যে রূপ দেখাইবে, আমি শিষ্য, সেই রকম করিব। আমি প্ৰধান শিষ্য, আমি অন্য সব শিষ্য অপেক্ষা অধিক নকল করিব । অতএব গুরুদেব ! আমি কোনও দোষ করি নাই । গুরু,-শিষ্য ! তুমি কোনও দোষ কর নাই ইহা ঠিক, কারণ তুমি গুরুকে নকল করিয়াছ। তোমার গুরুর যে এত সৎকাৰ্য্য রহিয়াছে, তুমি কি তাহার, কিছু নকল করিয়াছ ? শিষ্য,-আমি বিদ্যা বা বুদ্ধি বা যুক্তির নকল করি না, কারণ আমার ক্ষমতা নাই। যাহা আমি পারি, তাহাই করিয়াছি । গুরু,-তুমি জান, রাজচক্ৰবৰ্ত্তী আমায় কত ভৎসনা করিয়াছেন, তিনি অনুগ্ৰহ করিয়া আমায় ক্ষমা করিয়াছেন, আর তিনি সেই সময় বলিয়াছেন,-আপনার পনরআন তিনপাই সৎ গুণ, রক্ত মাংসের শরীর, আবার সম্মতি ক্ৰমে কাৰ্য্য করা হইয়াছে, ইহার কারণ আমি আপনাকে এইবার ক্ষমা করিলাম। আর একটী প্ৰধান কারণ যে সকল প্রজাবগের আপনার ক্ষমার দরুণ আমার নিকট দরখাস্ত করিয়াছে। তুমি জান, আমি তদবধি লজ্জিত আছি এবং নিজেকে নিজে কত তিরস্কার দিতেছি এৱং আমি কত অনুতাপ করিতেছি। এবং একের নিকট কত এক অন্তঃকরণ হইয়া, দেহের দোষের G