পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83),R কথোপকথন- ৱহাম্ভ । না শুনুক, পাগল ৰণুক আর বর্বরই বলুক। হে দিঘিজয়ী পুরুষ ! ফ্লট ষ্ট্রীটে যাইয়া একবার উচ্চ রবে প্ৰাণ ভরে গান গাহিব মনন করিয়াছিলাম, কিন্তু প্লেগের হেঁপাতে আপাতত বন্ধ রাখিলাম। একের কৃপায় যদি দেহ থাকে, পরে যাইব । কোন ইংরাজ ইতিহাসলেখক বলিয়াছেন যে, বাঙ্গালীরা খুব নকল করিতে পারে, কিন্তু সৎ গুণকে নকল করিতে পারে না, অসৎ গুণকে অতি শীব্র নবল করিতে পারে, ইহা যে ঠিক ইহার কোন ভুল নাই। সৎ গুণকে নকল করিবার ক্ষমতা ৰাজ্যলীদিগের ভিতর আদৌ নাই, তবে একটা গল্প বলি শুন : - কোন সময়ে আৰ্য্যৰৰ্কে এক বুদ্ধিমান ব্যক্তি বাস করিত এবং তাহার পরামর্শ ব্যতীত দেশের রাজচক্ৰবৰ্ত্তী কোন কাৰ্য্য করিত না। বুদ্ধিমানটি দেশের প্রচলিত অনেক নিয়ম পরিবর্তন করিয়াছিল, ফলত, অন্য সকলকার পূজার পাত্ৰ হইয়াছিল। বুদ্ধিমান ব্যক্তিটির একটা আশ্রম-ছিল এবং তথায় অনেক শিষ্য বাস করিত। সে সকলকে যথা বিধানে বিদ্যা দান করিত এবং আহায়ও দিত । বুদ্ধিমান ব্যক্তিটি প্রকৃত ঋষি ছিল, বাঙ্গালীর মত নকলনবিশ छिवन नां । কোন দিন বুদ্ধিমান ব্যক্তিটি নৌকাযানে আসিতেছিল, হঠাৎ ধীবর রাজার অবিবাহিত কন্যাকে আমোদ নৌকায় সহচরীর সহিত জল কেলি করিতে দেখিয়া মদন জ্বালায় ব্যথিত হইয়া মেঘের আশ্রয়কে লাইতে বাধ্য হইয়াছিল, অর্থাৎ বিবেক জ্ঞানটিকে হারাইতে বাধ্য হইয়াছিল। সুন্দরী সম্মুখে তেজপুঞ্জ পুরুষকে দেখিয়া যৌবন ভার ও মদনের শার উভয়কে সহিতে মা পারিয়া ব্যক্তিটির সহিত নৌকাযানে রমণ করিতে বাধ্য হইল। সুরত প্রসঙ্গের ফলটি অমর বলিয়া। কথিত ।