তাকে এক নূতন জন্তু বলিয়া লইল কারণ বাঙ্গলার পুইমিটুলি রঙে ইংরাজী , পোষাক হেতু তাদের মনে -এক নূতন রঙের আবির্ভাব হইল। একজন আসিয়া নূতন জন্তুকে জিজ্ঞাসা করিল,-তুমি কে ? তোমার নিবাস কোথা এবং তুমি কিসের জন্য এখানে আসিয়াছ ? বাঙ্গালী উত্তর দিল,-আমার নাম অমুক, আমি আপাতত বম্বে হইতে শিক্ষাহেতু এখানে আসিয়াছি, কিন্তু আমার নিবাস বাঙ্গলা । ইংরাজ বলিল,-বাঙ্গলা ! বাঙ্গালী উত্তর করিল,--হিন্দুস্থানের একটি প্রদেশের নাম বাঙ্গলা । ইংরাজটি “হা, হাঁ” বলিয়া চলিয়া গেল । বাঙ্গালী ঠিকাগাড়ীতে চড়িয়া হােটেলাভিমুখে চলিল এবং দুই চারিদিন হোটেলে থাকিবার পর একদিনে খবরের কাগজের বিজ্ঞাপনস্তন্তে দেখিল “এক ষোড়শী ঘর ভাড়া দিতে প্ৰস্তুত আছে, তার দুটি ছোট ছোট সুন্দরী ভগিনী আছে, আর তাহারা নৃত্য করিতে, গীত গাহিতে ও পিয়ানো বাজাইতে খুব মজবুত। বিদ্যালয়, নাচঘর ও সমিতি উক্ত বাটী হইতে একরাশি মাত্র তফাৎ।” পরদিন প্ৰত্যুষে সেই বাঙ্গালী একখানি ঠিকাগাড়ী করিয়া সেই বাড়িওয়ালীর দরজায় গিয়া নামিল। দেখিল দরজা বন্ধ। বাঙ্গালা দেশের প্রথা অনুসারে দরজাতে ধাক্কা দিবার মনন করিয়া যেমন হাত তুলিল, অমনি গাড়োয়ানটি বলিয়া উঠিল—“তুমি দরজাতে ধাক্কা দিওনা। ঐ দড়ি গাছটিকে ধরিয়া টান, তাহা হইলে বাড়ীর ভিতরে ঘণ্টা বাজিবে এবং ভিতরের লোক জানিবে যে বাহিরে লোক আসিয়াছে।” বাঙ্গালী লজ্জিত হইয়া প্ৰথমে গাড়োয়ানের ভাড়া চুকাইয়া দিয়া DDD DBDD DB DDBB BuDD BBDuBD DBDDB DDBB BBB দিয়া সমাদর করিয়া তাহাকে ভিতরে লইয়া গিয়া বৈঠকখানাতে বসাইল। voto চিন্তা-রহস্য ।
