পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিলাতী বাবু। গ ৩৯ ৷৷ ইত্যবসরে আর দুইটী ভগিনী আসিয়া যোগ দিল, সঙ্গে সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তা সুরু হইল। একটি ভগিনী পিয়ানোর সঙ্গে গল মিশাইয়া গান ধরিল, অপরটি নাচিতে থাকিল। বাঙ্গালী উহাদের সভ্যতাতে মোরবাবা হইয়া গেল। কিছুক্ষণ পরে বিদায় লইয়া বলিয়া গেল“আমি কল্য হইতে তোমার বাটীতে বাস করিব।” পরদিন সে হােটেলের পাওনা সমস্ত বিলগুলিকে চুকাইয়া দিয়া সেই বাড়িওয়ালীর বাটীতে আসিয়া বাস করিতে থাকিল। দুই তিন বৎসরে বাঙ্গালীটির লেখাপড়া শেষ হইল এবং পরীক্ষার সার্টিফিকেট খানিকে লইয়া পুনরায় জাহাজে আরোহী হইয়া জন্মস্থানাভিমুখে যাত্ৰা করিল। কিছুদিন পরে সে বম্বে আসিয়া নামিল এবং তৎপরে বম্বে হইতে কলিকাতায় আসিয়া পৌছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাহার সর্বাঙ্গে বিলাতের ছাপাপড়িয়া গেল। বাঙ্গালী যে অবস্থায় বিলাত ছাড়িয়াছিল। সেই অবস্থাতেই কলিকাতায় রহিল। দেখ বাঙ্গালী কত ক্ষীন ! যদি আমাদের জাতীয় ধৰ্ম্ম বা পোষাক থাকিত তাহা হইলে বিদেশে যাইলে স্বদেশীয় ধৰ্ম্ম ভুলিতাম না। ইংরাজেরা কাৰ্য্যানুরোধে বহু বৎসর ভারতে বাস করিয়া এবং ভারতের সর্বপ্ৰকার সম্প্রদায়ে মিশিয়া ভারতের গুহ ব্যাপারগুলিকে সংগ্ৰহ করিয়া থাকেন, কিন্তু ইহা বলিয়া ইংরাজের কালীঘাটে গিয়া লাল জব্বার মালাটি, বা রুলির ফোঁটাটি লন না, অথবা শ্ৰীপাঠে গিয়া মালসাভোগ দিয়া সেবা লন না, বা ধুতি চাদরে রাবু সাজিয়া সোনাগাছির ঠাণ্ড দুপুর রাতের হাওয়াটিকে সেবন করেন না। বাস্তবিক ইংরাজেরা যে গুলিকে দেশ হইতে লইয়া আসেন। সেই • গুলিকেই ফিরাইয়া লইয়া যায়। লাভের ভিতর ভারতের সর্ব। বিষয়ের জ্ঞানের পজিটিকে সংগ্ৰহ করিয়া লইয়া যায়। দেখ ইংরাজ