ভ্ৰষ্ট যোগী। 8७ এমন সময়ে বুজরুকি শিক্ষাভিলাষী যোগী তথায় আসিয়া উপস্থিত হুইলা; তৎপরে যোগী যাকে তাকে জিজ্ঞাসা করিল, “কি হয়েছে ? কি হয়েছে ?” কিছুক্ষণ পরে একজন ঐ সব কাণ্ডগুলি যোগীকে বলিল, বলিবা মাত্রেই যোগীর আক্কেলগুড়াম হইয়া কেরামতের উপর উহার ভক্তিটি আরও বাড়িল । যোগী একেবারে কেরামতের সামনে গিয়া দাঁড়াইয়া সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করিয়া দর্শনের এক একটি বুরি, ঝাড়িয়া আধাহিন্দি ও আধাবাঙ্গালাতে বুঝাইতে সুরু করিল। কেরামত বুঝিল এ লোকটা বড় বিদ্বান ও চালাক, ইহার সঙ্গে আলাপ রাখা উচিত। এই স্থির করিয়া উভয়ে উভয়ের প্রাণের দ্বার খুলিয়া প্ৰাণের কথা কহিতে লাগিল। কেরামত পয়লা নম্বরের, যোগী দোষীরা নম্বরের। ইহার কারণ কেরামতের নিকট হইতে যোগীর বুজরুকিটিকে শিখিবার আবশ্যক হইয়াছিল । কেরামত বলিল – বঙ্গদেশে অবতার কিম্বা বড়লোক হইবার কষ্ট কি ? দেখনা লক্ষ লক্ষ হিন্দ, আমার উচ্ছিষ্ট জল খাইয়া স্বর্গে যাইতেছে। যে অসাধ্য রোগ বড় বড় বৈদ্য, হাকিম ও ডাক্তারগণ আরোগ্য করিতে হার মানিয়াছে, আমার এক ফুয়ের জলে সব আরাম হইতেছে। বন্ধ্যার গর্ভ হইতেছে, নির্ধন ব্যক্তি ধনী হইতেছে, যাহার যাহা অভিলাষ তাহার তাহা পূর্ণ হইতেছে। আচ্ছা যোগীবর! বাঙ্গালার ছেলেগুলাও কি এত গাধা যে পাশ হবে বলে ফুয়ের জল খেয়ে পরীক্ষা দিতে যায় ? তারা না, লেখাপড়া শিখিতে, বিদ্যালয়ে যায় ? সে যাহা হউক তুমি খুব অসম্ভবগুলিকে বকিবে, তোমার তো সংস্কৃত বুরি জানা আছে! cयां?ी ठखद्र निज,-अigख्ठ हैं । কেরামত বলিল,-তবে আবার কি তুমি বলিবে যে যোগ করিলে । মানুষ শূন্যে উড়িতে পারে-হিমালয়কে উপৃড়াইয়া কলিকাতায় আনিতে ।
