পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ভ্ৰমণৰয়ই খঙত ৷ আবার একজন ভেদ করিয়া বাহির করিল, জল অভেদ নয়, তেজ অভেদ হয়। এই প্ৰকার একের পর এক ভেদ করিয়া জানিল নীতি অভেদ হয়। দেখা কি প্রকার খিচুড়ি হইল । ইহাতে কি স্পষ্ট প্ৰমাণ হইল না যে যত অভেদ তত ভেদ হয় ? যদি ইহা সত্য হয়, তাহা হইলে মানব জগৎ ভেদ হয়, এইটি সত্য। তুমি দেখ, সমুদ্র গর্ভের ভিতর যে জলচর যত নীচে আছে সে তত কালো হয়। আর যে জলচর যত উপরে আছে, সেটি তত শ্বেত হয়। পৃথিবীতে যে মানব যত উপরে আছে সে ভক্ত শ্বেত হয়, আর যে ষত নীচে আছে সে তত কালো হয়। এই ব্যতিক্রম কেন হয় বল দেখি ? বােধ হয় বলিবে, সূর্ঘ্যের কৃপায়, কেননা সূর্যের দ্বারা রং প্ৰস্তুত হয়। যদি ইহা ঠিক হয়, তাহা হইলে সমুদ্রগর্ভের নীচের BD S BJ DB DBSB DBDBDBD DBBDD DBD DDD বাস করে। কিন্তু যে সব মানব সূৰ্য্য রশ্মির দূরে বাস করে, তাহারা শ্বেত হয়, আর যাহারা নিকটে বাস করে, তাহার কালো হয়। কিন্তু যে সমস্ত জলচর সূর্ঘ্যের নিকট বাস করে, সে সমস্ত জলচর শ্বেত হয়, আর যে সমস্ত জলচর দূরে বাস করে, সে সমস্ত জলচর কালো হয়। ভূতের সূক্ষম লীলা এত সূক্ষম যে, মানব বুদ্ধির ফাঁকির ফাঁকিতে পড়ে, এবং এই ফাঁকিটি অভেদ -প্ৰস্তুত করিবার প্রধান কারিকর, কারণ নিজের প্রাধান্যটিকে ছাড়িতে পারে না। যদি অম্লান বদনে স্বীকার করে যে আমি আর ভেদ করিতে পারি না, তাহা হইলেই বালাই যাইয়া আয়ও ভেদ বাহির হয় । যত ভেদ করিবে তত ভেদ বাহির হইবে, যত ভেদ বাহির হইবে তত পুরুষকার বাড়িবে, যত পুরুষকার বাড়িবে তত নূতন আবিষ্কার হইবে, যত নূতন যোগ দিবে, তত যোগে যোগে প্ৰলয়