পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

es -- চিন্তা-রহস্ত । দায়ী অর্থাৎ এক অব্যক্ত ব্ৰহ্ম।” - আমি যাহা বলিয়াছিলাম তাহা কি তোমার ঘোষণাকারীরা বলে নাই ? যাহার সাপ বেঙ জ্ঞান নাই তাহাকে রাজা বলিলে প্ৰায়শ্চিত্ত করিতে হয় । দশজনে মিলিয়া আমার আশ্রমের জায়গাটিকে কিনিয়া দিয়াছে, তোমার স্বৰ্গীয় পিতা উহার উপর একটি ঘাট তৈয়ার করিয়া দিয়াছেন, তুমি নিজে স্বইচ্ছায় আমাকে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিয়াচ, আমার কি অপরাধ হইল যে তুমি পরের ধন ক্রোক করিয়া আত্মসাৎ করা। পরের দ্রব্য বিনানুমতিতে লইলে চুরি করা হয়, বিশেষত রাজা বলপূর্বক পরের দ্রব্য রাজ্যভুক্ত করিলে রাজার পাপের প্রায়শ্চিত্ত নাই। তুমি মনে করিও না যে রাজার দোষের শাস্তি নাই। ক্ষীন লোকের সহায় এক হন, যিনি জগৎবাসী দিগকে বলবানের উৎপীড়ন হইতে রক্ষা করিতেছেন। দুষ্টের দমনের ও শিষ্টের পালনের জন্য ইহজগতে তিনি এক ব্যক্তিকে রাজা করিয়া থাকেন। যদি কেহ রাজা হইয়া সামাজিক আইনের বহির্ভূত আচরণ করে শীঘ্ৰ তাহার রাজত্বটি নষ্ট হইয়া যায়। তুমি যে কাৰ্য্য করিয়াছ তাহার জন্য আমার নিকট হইতে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নচেৎ ইহার ফল অচিরাৎ ভোগ করিতে হইবে । মন্ত্রী হাসি হাসি মুখে উত্তর করিতে লাগিল,- যোগীবর! যাহা কিছু এখন বলিলে সৰু ঠিক, কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, তুমি তোমার নিজের জন্য আইন একরকম কর, আর অপরের জন্য আর এক রকম কর । রাজা যখন , প্ৰথম ঘোষণাপত্ৰ তোমার নিকট প্ৰকাশ করেন, তখন তুমি রাজাকে কত ভৎসৰ্পনা করিয়াছিলে, কিন্তু দ্বিতীয় ঘোষণার সময় কত আনন্দের সহিত স্বর্ণমুদ্রগুলিকে গ্ৰহণ করিয়াছ এবং রাজাকে তুমি কত আশীৰ্বাদ করিয়াছ ও রাজার উপরও কত আনন্দসূচক বাক্যপ্রয়োগ করিয়াছ। পরের স্ত্রী হরণের সময়