भो९ । V8) দর্শন পায় না, তখন সংজ্ঞাটি করে এবং ঐ সংজ্ঞাটি হইতে বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ডটিকে আনে, আবার বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ডটিকে তাহাতে লইয়া যায়, ফলত উহারা আদি সংজ্ঞাটিকে এক কহে, আর অন্য সমস্তকে বহু কহে । , r জ্ঞানীরা বিষয়কে জানিতে যায় ; যখন আর জানিতে পারে না, তখন উহারা “জানি না” বলিয়া অনন্তকে লইয়া আসে ; ফলত জ্ঞানীরা অনন্তকে নিত্য কহে, আর অন্য সমস্তকে অনিত্য কহে, কিন্তু বাস্তবিক উহার অবতারকে অনন্তের সামিল করে। কতকগুলি জ্ঞানী অবতারকে ভক্তি ভাবে নিত্য কহে, এবং অবতারের উপর ভক্তিকে ও তৎ, সম্বলিত কাৰ্য্যকে প্রকৃত মুক্তির কারণ কহে, ইহা ব্যতীত অন্য সমস্ত কাৰ্য্যকে উহারা বৃথা কাৰ্য্য বলে । বিজ্ঞানবাদীরা ভূতের যুক্ত ও অযুক্ত অবস্থাকে শ্রেষ্ঠ লীলা কহে, এবং তৎকারণ উহারা প্ৰকৃত শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে। উহাদের ভিতর কথার কাটাকাটি নাই, কারণ উহাদিগকে প্ৰত্যক্ষ দেখাইতে হয়, অতএব যাহা প্ৰত্যক্ষ তাহাই শ্রেষ্ঠ হয়। যাহা বল। তাহা কাৰ্য্যতে কর, খালি কথায় বলিলে চলিবে না । কথা কথাতে থাকে, যেমন দর্শনের কথা কোন কাৰ্য্যতে আসে না, খালি কথাতে থাকে ; তবে উহাদিগের ভিতর যে নীতি পালন করে, তাহার কতকটা সিন্ধি লাভ হয় । যাহার যাহা সংস্কার তাহার তাহাই সিদ্ধি হয় । এক স্থানে বসিয়া জড় হও জড়বৎ হইবে ; কিন্তু কাৰ্য কি হইবে ?--কিছুই নয়। অবতারেরা লীলা করেন, এবং উহাদিগের সমস্ত লীলা অন্য সমস্ত জাগতিক জনের ধৰ্ম্ম হয়। জ্ঞান ও দর্শন ও হিতাহিত যদি পরস্পরে বড় হইত, তাহা • হইলে উহাদেরও লীলা জগতে থাকিত, কিন্তু কেহই বড় নয়, সকলেই ফকক “ইয়। আবার yr Y)
