পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৭৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

asso প্ৰকৃতি-রহস্য । ংশ,-বন্ধু! জলার গুণটি কি অদ্ভুত হয়-মেয়ে ও পুরুষ আলাহিদা হয়, কিন্তু কাৰ্য্যের সময় বিশেষটি বলিলে অশেষটা আসিয়া উপস্থিত হয় - টাকা ঠিক করিবার সময় কলের বিশেষ গুণটী আইসো, কিন্তু খোঁড়ার সময় বিশেষণটি কি ? তিনি অশেষ, তাহা হইতে যাহা কিছু সব অশেষ, অতএব তিনি ছাড়া আমি নই, আমিও অশেষ। বন্ধু! তুমি অশেষটিকে লইয়া ফের, আমি বিশেষটিকে লইয়া চলি। তাই বন্ধু ! দুইজনে ঠিক খাপ খাটিতেছে না। তুমি যাহা কিছু বলিলে উহা সমস্তই বিশেষ। তুমি মুখে খালি বল অশেষ, কিন্তু তুমি যাহা, কিছু কর, সব বিশেষ। বিশেষটি হইলেই বিশিষ্ট গুণ চাই, আর গুণী হইতে হইলেই নিয়ম চাই, আর নিয়মটিকে রাখিতে হইলেই পুরুষকারের প্রয়োজন, বাস্তবিক পুরুষকার করিতে হইলে বৰ্ত্তমানে ক্ষমতানুসারে। কাৰ্য্য করিতে হয় । বন্ধু ! তুমি খাইয়া বল খাইনি, করিয়া বল করিনি, আর খোড়া হইয়া বল আমি খোড়া নাই,- এই অসভ্যতাগুলিকে আমি বিকৃতি মাহন্ত্র্যের বিষয় ব্যতীত আর কিছুই বলিতে পারি না। বন্ধু ! যদি কোন কালে দয়াময়ের কৃপাতে প্ৰকৃতিস্থ হও, তাহা হইলে প্ৰকৃতি রহস্য যে কি ইহা বুঝিতে পরিবে, নচেৎ আমি তোমাদিগের নিকট এখন পাগল রহিলাম, কেননা তুমি ংজ্ঞাবিশিষ্ট হইয়াও অশেষ বলিতেছে এবং নিশ্বাসটিকে ধরিয়াও বিশ্বাসটিকে উড়াইয়া দিতেছ, ফলত বিশেষ্য হইয়াও বিশেষণটিকে মানিতেছি না । ৰন্ধু! তুমি যে টুলো পণ্ডিতদিগকে বুনো বলিয়াছ, এইটাই তোমার বাহোবা-প্ৰস্থান মাহাত্ম্য ব্যতীত আর কিছুই আমি তোমাকে বলিতে পারি না । অন্ধ অন্ধকে অন্ধ বলে, কিন্তু নিজে অন্ধ