१६२ প্ৰকৃতি-রহস্য। novæma mæn ব্যতীত অন্য কেহই নয়, কারণ এক হইতে বহু, ইহা চিরপ্রসিদ্ধ, ফলত মৌলিক। অন্য সব সৃষ্টি বিষয়ের ভিতর আলোকটীকে অর্থাৎ বিশ্ব মিত্ৰকে-বিষ্ণুকে, তিনি প্রথম সৃষ্টি করেন, অতএব আলোকটী তার বিকৃতি হইয়াও প্ৰকৃতিস্থ হইবার কারণ প্ৰকৃতি হইল, ফলত মৌলিক বনিল । সূৰ্য্য হইতে অগ্নি হয়, অগ্নিটী বিকৃতি হইয়াও প্রকৃতিস্থ হইবার কারণ প্ৰকৃতি হইল ; অতএব অগ্নিটি মৌলিক ; ফলত সূৰ্য্য ও অগ্নি মৌলিক হয়, ইহা সিদ্ধান্ত হইল । যতদিন এক যম অবস্থাতে ছিলেন, ততদিন সব বিষয় একেতে লুক্কায়িত ছিল। যখন তিনি ইচ্ছা করিলেন, আমি বহু হইব, অমনি বহু হইলেন —যমের রূপান্তর চিত্রগুপ্ত হয় । দেখ কি সুন্দর রহস্য-তিনি যম । যখন তিনি বহু হইলেন অমনি মিত্ৰ-সূৰ্য অর্থাৎ চিত্রগুপ্ত হইল এবং সূৰ্য্য হইতে বৰ্ণ হয়, ইহা চিরপ্ৰসিদ্ধ, ফলত আদিম বৰ্ণ কায়স্থ জাতি হয় । যদি আদিম বৰ্ণ কায়স্থ জাতি হয়, তাহা হইলে কায়স্থ জাতিটা প্ৰকৃত আৰ্য্য হয়। আৰ্য্যদিগের ভিতর অশৌচ ত্ৰিশদিন ছিল, কারণ আৰ্য্যেরা সৌর ছিল -সৌর বৎসর গণিতে হইলেই ত্রিশ দিনে মাসটিকে গণিতে হয়, আর তিন শত ষাট দিনে বৎসরটিকে ঠিক করিতে হয়,-আমরা এখন চান্দ্ৰায়ণিক বৎসর লইয়া কাৰ্য্য করিতেছি এবং ষােহ। কিছু ক্রিয়াকলাপ করি তাহা সমস্তই চন্দ্রটিকে ধরিয়া করি, সূৰ্য্যটিকে ধরিয়া কোন কাৰ্য্য করি না, কারণ আপাতত আমাদিগের ভিতর গণক প্রথার প্রাদার্ভাব। কতকগুলি কায়স্থের ভিতর যখন সাগ্নিক ব্যবস্থাটি চলিল, তখন উহারা তিন দিন অশৌচ লইল ; আবার যখন সৌরের ও সাগ্নিকের ও লোপ হইল, তখন ‘অন্য বিধি প্ৰবল হইল-এই
