পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vr চিন্তা-রহস্য । s লুকিয়ে চুরিয়ে খাইয়া কুয়ের জন্ম দিবার জন্য। দেখ সর্ব পাপের মুক্তি আছে, তীৰ্থস্থানের পাপের মুক্তি নাই। কিন্তু আজ-- কাল তীর্থস্থানগুলিই সকল পাপের আধার হইয়াছে । সর্ব শাস্ত্ৰে কামনাকে ত্যাগ করিতে বলিয়াছে । কামনা ত্যাগ হইতে পারে না, কেননা যতক্ষন দেহে এক ফোটা রক্ত থাকিবে ততক্ষণ কামনাটি যায় না। এমন কি মৃত্যুতেও কামনার নিস্তার নাই, কেননা দেহটি রূপান্তর হইয়া নূতন আকার হয়,-“এইজন্য শাস্ত্রকারেরা কামনাকে ভাগ করিয়া গিয়াছে, সুকামনা ও কুকামনা । এককে একে রাখিবে, বহুকে বহুতে রাখিবে, এইটি ঠিক পদ্মপত্রের সহিত জলের সম্পর্কের মত। আমি বহু হইব এবং বহুটি বহুতে থাকিবে, কিন্তু আমি এক একে থাকিব। কি দুর্বোধ কথা যাহা সহজে হৃদয়ঙ্গম করা যায় না বা মাথায় আইসে না, তবে যে ব্যক্তি হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে বা যাহার মাথায় আইসে সে ব্যক্তি মহাজন । জগতে হেলা বা দোলা অতি সহজ, বা সাকার কামিনীকে ত্যাগ করা বা গ্ৰহণ করা অতি সহজ, কিন্তু অন্তরে কামিনীকে রাখিয়া বাহিরে সংসার নিয়মানুসুরে গ্রহণ করিয়া, না হেলিয়া দুলিয়া চলা বড় দুরূহ। শাস্ত্রকারেরা এই ব্যাপারটিকে দুই পাখার আশ্রয়ে পক্ষীর উড়ার মত বলিয়া থাকে। বিবেকিনা! আমি যখন সুকামনা করিতেছিলাম। তখন একজন আসিয়া বলিল “ভদ্র ! তোমার মাতা তোমায় কোন বিশেষ কারণ বশত ডাকিতেছেন, তুমি শীঘ্ৰ চল, চল ।” আমি ইহা শুনিয়া সর্ব গুরুতর। কাৰ্য্য না নিম্পন্ন করিয়াও মাতার সম্মুখে গিয়া উপস্থিত হইলাম। মাতা বললেন “তােমার ভ্রাতার বংশকে রক্ষা করিতে হইবে।” আমি কোন দ্বিরুক্তি না করিয়া আমি বহু হইব এই বেদ ৰাক্যটিকে স্মরণ করিয়া ভ্ৰাতৃজায়াতে আমার বীজ