পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৭৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७७ প্ৰকৃতি-রহস্য । ংশ,-সকলে এক প্রকার আহার করা ? ংস,-না বন্ধু ! আমি নিরামিষ খাই। বড়টা বড়ই সাহেব, তিনি হোটেলে ব্যতীত খায় না । যখন যে প্ৰকার আহার মিলে তৃতীয়টা তাহাই খায়, বেশীর ভাগ কোন প্রকার আহারে তাহার আপত্তি নাই। চতুর্থটি মাছ ব্যতীত অন্য কিছুই খায় না। পঞ্চমটী আগে জ্যেষ্ঠের সঙ্গে খুব হোটেলে খাইত, তবে অৰ্শ, নাসা - ও অম্বল রোগ হওয়াতে আমার সঙ্গে নিরামিষ খাইতে সুরু করিল। মেয়ে গুলি “টেকি রাখানা” বলাতে, বিশেষত মা উহাকে বলিল,-তুমি র্যাড়ের খাওয়া খাইলে শরীর থাকিৰে কেন ? তুমি মাছ খাও, তাঙ্গা না হইলে চক্ষু খারাপ হইয়া যাইবে । এই প্রকার বলতে সে চতুর্থটির সঙ্গে খাইতে সুরু করিল। কিছুদিন পরে ভাগ্যপলে এক হলদে কুকুর জুটিল । সে পঞ্চমটিকে বলিল, – তুমি বড় কাহিল, তোমার শরীরের ভিতর রোগ আছে, তুমি বেশী দিন বাচিবে না। তুমি খাও কি ? পঞ্চমটী তাতাকে সব বলিল এবং সে উহা শুনিয়া শিহরিয়া উঠিয়া পঞ্চমটিকে বলিল –তুমি পিতার পুণ্যাবলে বাঁচিয়া আছ, তাহা না হইলে অনেক দিন পূর্লে মারিয়া যাইতে, যদি বাঁচিতে ইচ্ছা কর তাহা হইলে আমার মত ফল খাও। দেখ, আমার আশী বৎসর বয়স হইয়াছে কেমন আছি । পঞ্চমটি তাঁহাই করিতে লাগিল, কিন্তু বন্ধু ! সে অধিকদিন বাঁচিল না । অংশ, - আর অন্যগুলি ভাল আছে ? ংস,-না বন্ধু ! সকলে মরিয়া গিয়াছে, তবে আমি হতভাগা - তাই এখনও বঁচিয়া আছি । ংশ,-তোমার পিতা ঠাকুর, কি প্ৰকার আহার করিত ?