পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুণভেদে বস্তুর ও ব্যবহারের বিভিন্নত । জগতে বড় হইবার উপায় নাই। আমাদের দেশের ব্যক্তিরা উক্ত চারিটির পথাবলম্বী বলিয়াই জগতে মুনি, ঋষি ও রাজা বলিয়া খ্যাত। বিবেকিনা! দেখ দেখি শ্ৰীভগবতী, শ্ৰী রামচন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ জন্ম হইতে স্বৰ্গারোহণ পৰ্য্যন্ত জগতে কি লীলা না করিয়াছেন ? বোধ হয়। আর কেহ জগতে করিতে পরিবে কি না সন্দেহ ! যদ্যপি উহারা সমস্ত বিষয়কে ত্যাগ করিয়া ঘরে বা বনে চুপ করিয়া বসিয়া থাকিতেন, তাহা হইলে কি চণ্ডী, রামায়ন ও মহাভারত প্ৰস্তুত হইত ? ভারতবর্ষের ভিতর উহাদের কাৰ্য্য চণ্ডীতে, রামায়নে ও মহাভারতে বিস্তৃত রূপে বৰ্ণিত আছে। উহারা সকলেই চরিত্রনীতিতে, সমাজনীতিতে, রাজনীতিতে ও গুপ্তনীতিতে দক্ষ ছিলেন এবং উহাদিগের তুল্য কম্মিষ্ঠ ও সর্বনীতিতে চৌরষ আর দেখিতে পাওয়া যায় না । কলের, বলের ও ছলের প্রয়োজন যেখানেতে যেটি হইত। সেইখানে সেটিকেই ব্যবহার করিতেন। তঁহারা সত্যতে প্রেমে ও বাকপটুতাতে অন্য সকলকার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ছিলেন এবং রূপে, গঠনে ও সৌন্দর্ঘ্যে মনোহর ছিলেন। অষ্টৈশ্বৰ্য্যের আধার ছিলেন বলিয়াই আমরা সকলে উহাদিগকে মহাবিদ্যা এবং অবতার বলিয়া পূজা করি। বিবেকিিন!! পূজা অৰ্থাৎ চাল কলা দিয়া ঘণ্টা নাড়া নয়, গৌরবান্বিত ক্রিয়াই পূজা। আমরা সকলেই চেলা বা শিষ্য হইয়া উহাদিগের গৌরবান্বিত ক্রিয়া থাকায় উহাদিগকে পূজা করি এবং তঁাহারা যে কাৰ্য্য করিয়া জগতের ভিতর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করিয়া গিয়াছেন আমরা সেই কাৰ্য্যের পথাবলম্বী হইয়া তাহদের মত বিদ্যা, বুদ্ধি ও যুক্তির দ্বারায় কাৰ্য্যগুলিকে সমাধা করিতে প্রাণপনে চেষ্টা করি। যাহার সাধ্য যতটুকু সে ততটুকু সমাধা করে। কাৰ্য্যারিস্ত হইতে সমাধা পৰ্য্যন্ত যে সময় লাগে তৎক্তকে তপস্যা বলে। যে যত একাগ্ৰচিত্ত হইয়া করিবে সে তত বেশী