ዓ8 চিন্তা-রহস্য । guilt ব্যাস বলিল, - আমাদের দেশে বড় ছেলেতে বিষয় পায়, কিন্ত চাষ মাস দিগের ভিতর সকলেই সমান পায়, কারণ তাহাদের ভিতর বিষয়ের ভাগ যতই হয় ততই উপকার । , , বিবেকী বলিল,-এক পথে দুই রকম ফল কেন ? ব্যাস উত্তর করিল,-এইবার একটু কাটে কাটে ঠেকাইয়ােছ। কতক লোকের পক্ষে এক পুত্ৰে বিষয় পাওয়া রাজনীতি অনুসারে ভাল, কিন্ত সাধারণের পক্ষে এই বিধিটি উপকার জনক নহে। তাহদের বিষয় যত বেশী বাখরা হয় ততই মঙ্গল, কারণ সকলেই নিজ অংশের উন্নতি করিতে পারে । আমার বোধ হয় তোমাদের দেশে কেহ ধনী নাই, কাহারও। চতুরঙ্গ নাই, ভাগে ভাগে সকলই ক্ষীণ, আর তিন পুরুষেই ফরসা, কেমন হে -–এই সব ঠিক কি না ? বিবেকী বলিল,-আজ্ঞে হঁ । ব্যাস বলিল,-বিবেকিনা! তোমাদের দেশে কেহ কি স্কুলের উন্নতির দরুণ চেষ্টা করে না ? সকলেই কি তোমার মত পাথুরে । ষাঁড়। চােরের উপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাব, তবুও চোর ধরিবার উপায়টিকে অবলম্বন করিব না-গাধার মত চিনির বস্তাটিকে বহিব৷” তথাপি চিনি কি, তাহা চিনিব না। তোমাদের দেশে সমস্ততেই কি খিচুড়ি পাকান ? ধৰ্ম্মের ঠিক নাই, রঙের ঠিক নাই, পোষাকের ঠিক নাই, খাদ্যের ঠিক নাই, খালি “এক ব্যতীত দ্বিতীয় নাই’ এইটির আর দেবল প্রথাটির ঠিক আছে। কাজে কাজেই যখন সবই অঠিক তখন একটি ঠিক না। রাখিলে কোথায় দাঁড়ায় ! কোথায় ছিল আঁস্তাকুড়ের কেলে হাঁড়ি হলো কিনা ঘেটুদিদি ! আমাদের দেশে সকল মুনি ঋষিরা স্কুলের উপাসক ও একবাদী এবং উহার ক্রিয়াক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব পাইবার জন্য কষ্ট সহ করিয়া তপস্যা করে। বিজ্ঞতা, ন্যায়পরায়ণতা, পরিমিততা ও সহিষ্ণুতা ব্যতীত
