পাতা:মিবাররাজ.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম পরিচ্ছেদ।
৩১

পারে—জীবনে নহে। তবে কি জীবন অপেক্ষা মৃত্যুই তাহার প্রার্থনীয় নয়?

 তাহার দুই চক্ষু ভাসিয়া জল পড়িতে লাগিল, সে পাশের গাছের একটা ডাল নুয়াইয়া ধরিয়া ঘূর্ণামান মস্তক তাহার উপর রাখিল; কতক্ষণ এইরূপে কাটিয়া গেল সে তাহা জানে না,—হঠাৎ কার স্পর্শে চমকিয়া—ফিরিয়া দাঁড়াইল, দেথিল মালিক তাঁহার সম্মুখে দাঁড়াইয়া। তাহার মনে হইল সে স্বপ্ন দেখিতেছে। মালিক স্নেহের স্বরে যখন বলিলেন “বাছাডা তোর কি হউছুরে?” তখন ভীলপুত্রের মনের আবেগ আর রহিল না, সে কাঁদিয়া বলিয়া উঠিল—বাবাডারে মুই তোর কি করুছি, কোন লাগিন মোরে তুই তেয়াগ করিলি?”

 সে করুণ স্বর—সে কাতর ক্রন্দন মন্দালিকের হৃদয় বিদ্ধ করিল, তিনি বিচলিত হইয়া পড়িলেন—তিনিই যে পুত্রের কষ্টের কারণ তাহা বুঝিতে পারিলেন, অথচ তাহা হইয়াও যেন উপায় ছিল না, তাঁহার মনে হইল তিনি যেন একটা যন্ত্রমাত্র। তিনি কম্পিত কণ্ঠে অগেকার ভাষায় বলিলেন (আমরা সাদা ভাষাতেই এখন হইতে বলিয়া যাই) “বৎস পিতা হইয়া পুত্রকে কি কেহ ত্যাগ করিতে পারে”

 পুত্র বলিল “তবে আমার এ দশা কেন?”

 পিতা তাহাকে বুকের মধ্যে টানিয়া লইলেন, ছোট