পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
মিবার-গৌরব-কথা।

পরিহাসের কথা শুনিয়া বলিলেন “পিতা যখন পরিহাস করিয়াও সে কন্যার সহিত নিজের বিবাহের কথা ভাবিয়াছেন, তখন আমি আর তাহাকে বিবাহ করিতে পারিনা।” সুতরাং তিনি কোন প্রকারেই সে কন্যাকে বিবাহ করিতে সম্মত হইলেন না। রাণা লক্ষ পুত্রকে কত বুঝাইলেন, কত তিরঙ্কার করিলেন, কত অনুরোধ করিলেন কিছুতেই তাঁহাকে সম্মত করাইতে পারিলেন না। তখন অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন, “কি, আমি পিতা হইয়া এত অনুনয় বিনয় করিলাম, কিছুতেই তোমার গ্রাহ্য হইলনা? আমি, মাড়বার-রাজকে অপমানিত করিতে পারিনা, আমি তাঁর কন্যাকে বিবাহ করিতেছি, কিন্তু তুমি আজ আমার নিকট প্রতিজ্ঞা কর যে, চিরদিনের মত মিবার সিংহাসনের আশা পরিত্যাগ করিলে। এই বিবাহে যদি আমার পুত্র জন্মে, সেই মিবারের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হইবে।” চণ্ড পিতার নিকট বিধিপূর্ব্বক প্রতিজ্ঞা করিলেন। কালে নূতন মহিষীর একটি পুত্র জন্মিল। তাহার নাম মুকুলজী। মুকুলজীর বয়স যখন পাঁচ বৎসর, তখন রাণা লক্ষ মুসলমানদিগের অত্যাচার হইতে গয়াতীর্থ রক্ষা করিবার জন্য গমন করেন।