পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চণ্ড ও মুকলজী।
২৯

যাত্রার পূর্ব্বে রাজ্যের সন্ত্রান্ত লোকদিগকে ডাকিয়া বলিলেন, “আমিত চলিলাম, আর যে ফিরিব এরূপ আশা নাই। এখন আমি কোন্ ভূসম্পতি মুকুলকে দান করিয়া যাই।” কুমার চণ্ড অমনি দৃঢ়স্বরে বলিয়া উঠিলেন, “কেন মিবারের রাজসিংহাসন।” এই বলিয়াই চণ্ড নিরস্ত হইলেন না, কিন্তু পিতার গমনের পূর্ব্বে বিশেষ উদ্যোগী হইয়া মুকুলের রাজ্যাভিষেক সম্পন্ন করিলেন; এবং স্বয়ং তাহার মন্ত্রী হইয়া রাজ্য শাসন করিবেন বলিয়া প্রতিজ্ঞা করিলেন। রাণা লক্ষ মুকুলের রাজ্যাভিষেক দর্শন করিয়া তীর্থে গমন করিলেন। কুমার চণ্ড বিশ্বম্ভ অনুগত ভৃত্যের ন্যায় ভ্রাতার রাজ্য শাসন করিতে লাগিলেন। ক্ষুদ্র বালক মুকুল সিংহাসনে উপবিষ্ট, আর চণ্ড দীনদাসের ন্যায় নিম্ন আসনে আসীন, এদৃশ্য দেখিয়া সভাস্থ সকলের মনে এক অপূর্ব্ব ভাবের উদয় হইত। সকলে চণ্ডকে দেবতার ন্যায় শ্রদ্ধা ভক্তি করিত। কিন্তু হায়! মিবার রাজ্যে কেবল একজন ছিলেন, তিনি চণ্ডের কোন কর্ম্মই প্রসন্ন চক্ষে দেখিতেন না। তাঁহার সকল কার্য্যেই একটা না একটা দুরভিসন্ধি আরোপ করিতেন। তিনি চণ্ডের বিমাতা ও মুকুলের জননী। তিনি গোপনে