S$ মিশরধাত্রী বাঙ্গালী । झुउँौम्न श्रब्रिट्क्रन । কাগামিন } পরদিন (অনুমান এই কি ৮ই সেপ্টেম্বর ১৮৮২) প্রাতঃকালে একজন রাজকৰ্ম্মচারী আমাদের নিকট আসিয়া তৎক্ষণাৎ যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে অগ্রসর হইবার নিমিত্ত আদেশ প্রদান করিলেন । ক্ষণবিলম্ব ব্যতিরেকে আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরণী সহযোগে তীরে অবতরণ করিলাম । বন্দরে অবতরণ করিয়াই আমাদের প্রধান কৰ্ম্মচারী তত্ৰত্য স্থানীয় প্রধান রাজপুরুষের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গমন করিলেন । আমি কয়েক ব্যক্তির সহিত নিকটবৰ্ত্তী একটী হোটেলে বিশ্রাম করিতে লাগিলাম। আজ প্রায় ১৫ । ১৬ দিনের পর এই প্রথম ভূমিতে পদার্পণ করিয়া কত যে হর্ষ হইল তাহ বলিয়া জানাইতে পারিন । কিন্তু দুঃখের বিষয়, সে আনন্দ অধিকক্ষণ স্থায়ী হইল না। আনদের স্থান চিন্তামেঘে পূর্ণ হইয়া উঠিল। ক্ষীণ বাঙ্গালীহৃদয় কেমন করিয়া সম্মুখ-সমরের ভীষণ দৃশ্য দর্শন করিবে, পরিণাম কিরূপ হইবে, ইত্যাকার ঘোর ঘন হৃদয় দলনকারী চিন্তারাজিতে প্রাণ মন আকুল হইয়। উঠিল। ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় ইংরেজ কৰ্ম্মচারী প্রত্যাবর্তন করিলেন। তিনি হাসিতে হাসিতে আমার নিকট আসিয়া বলিলেন, “আমরা যেদিক দিয়া যাইব সেখানে বড় মাছির ভয়, এই স্বনার জালিকার দ্বারা তোমার বদনমণ্ডল আবরণ কর, আর যদি ভয় পাইয়া থাক যাহসে হৃদয় বাধ।” তাহার এইরূপ মিষ্ট সম্ভাষণে আমি অনেক শাস্ত হইলাম ও নিজ দুর্বলতার জন্য লঙ্গার মুখ অবনত করিলাম। সাহসী ইংরেজ পুৰুষ আমার মনোভাব বুঝির অন্যত্র গির সকলকে প্রস্তুত হইতে আদেশ কৰিলেন। জামরা বোস্থবেশে সশস্ত্রে দলে দলে বেলা ১ টার সময় কালাসিন,
