বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম পরিচ্ছেদ।
১৫৫

 প্রথমে চিনির গাঢ় রস তৈয়ার করিবে। রস তৈয়ার হইলে তাহা কোন পাত্রে রাখিবে। এদিকে ডিম ভাঙ্গিয়া অল্প জলের সহিত তাহার তরলাংশ উত্তমরূপে ফেনাইবে। ফেনান হইলে তখন চিনির রসে মিশাইয়া, আবার বেশ করিয়া ফেনাইতে থাকিবে। অনন্তর, তাহ। মৃদু জ্বালে চড়াইয়া, ময়দা জলে গুলিয়া উহাতে ঢালিয়া দিবে। কিন্তু নাড়া বন্ধ করিবে না, অনবরত নাড়িতে নাড়িতে, জ্বালে যখন গাঢ় লইয়া আসিবে, তখন তাহা নামাইয়া লইবে।

লাউয়ের হালোয়া।

 লাউ দ্বারা যেরূপ ব্যঞ্জন পাক হয়, সেইরূপ উহাতে পায়স ও উৎকৃষ্ট আচার এবং উপাদেয় মোহনভোগ-ও প্রস্তুত হইয়া থাকে। লাউয়ের মধ্যে এক জাতীয় লাউ আতিক্ত, তদ্দ্বারা হালোয়া পাক করিলে, আস্বাদন বিকৃত হইয়া থাকে। প্রথমে লাউয়ের খোসা ও বুকো ছাড়াইয়া, ভিতরের বিচি প্রভৃতি ছাড়াইয়া ফেলিবে। উহা ছাড়ান হইলে, লাউ পাতলা পাতলা করিয়া কুটিবে। পরে উত্তমরূপ ধুইয়া জলে সিদ্ধ করিবে। সুসিদ্ধ হইলে, জ্বাল হইতে নামাইবে এবং ঠাণ্ডা হইলে জল-সহ চট্‌কাইবে। চট্‌কাইতে চট্‌কাইতে যখন তাহা দ্রব হইয়া জলে গুলিয়া যাইবে, তখন কাপড়ে ছাঁকিয়া রাখিবে। এখন পাক-পাত্রে ঘৃত জ্বালে চড়াইবে এবং তাহা পাকিয়া আসিলে পূর্ব্ব-রক্ষিত লাউ, দুধ ও চিনি ঢালিয়া দিবে। এই সময় হইতে মৃদু জ্বাল দিবে। যখন দেখা যাইবে, উহা ঘন অর্থাৎ কাটির গায়ে কামড়াইয়া ধরিতেছে, তখন তাহা আর জ্বালে না রাখিয়া নামাইবে। নামাইয়া ছোট এলাচ-চূর্ণ ও অল্প পরিমাণে কর্পূর ছড়াইয়া দিয়া লইলে-ই, লাউয়ের মোহনভোগ পাক হইল। এই মোহনভোগে যদি বাদাম, পেস্তা